পাঁচজন বিদেশী খেললে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের তেমন অসুবিধা হবার কথা নয়। তবে জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়া কিছুটা কঠিন হবে। তাই, ইতিমধ্যে পাঁচজন বিদেশী খেলানোর বিপক্ষে সোচ্চার হয়েছেন মাশরাফি ও তামিম।
এই প্রসঙ্গে তামিম বলেন, সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয় নি। কিন্তু আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে আমি বলবো- আমি অনেক দিন থেকেই জাতীয় দলে খেলছি আর বোর্ড যদি আমার মতামত চায়। আমি সরাসরি জানাবো, আমি এর বিপক্ষে। আমি ইতিমধ্যে আমার ফ্রাঞ্চাইজিকে পাঁচ বিদেশী খেলানোর বিপক্ষে থাকার কথা বলেছি।
একই সুর বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফির কন্ঠে, এই টুর্ণামেন্ট লোকাল খেলোয়াড় তৈরী করার বড় সুযোগ। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, আগের চার আসরে সেই দলই জিতছে যাদের লোকাল খেলোয়াড়রা ভালো করেছে। . মাশরাফি আরো বলেন, এখন আমরা যদি বিদেশী খেলোয়াড় বাড়াই, তাহলে খেলার জয়-পরাজয় ওদের উপর নির্ভর করবে। পাশাপাশি আপনি যদি একজন বিদেশী ক্রিকেটার বাড়ান তার মানে একজন দেশী ক্রিকেটার কমে যাচ্ছে। যেটা আমি চাই না। বোর্ড আমার কাছে মতামত জানতে চাইলে, আমি বলবো চারজন বিদেশীই খেলানো উচিৎ।
আমি মনে করি পাঁচ বিদেশি খেলানোর কোনো যুক্তি নেই বিপিএল টা হচ্ছে মূলত বাংলাদেশি খেলোয়ারদের পার্ফমেন্স করার মূল্য প্লাটর্ফম,আমাদের দেশে যেসব বিদেশি খেলোয়ার খেলতে আসে তাদের বেশির ভাগই দেশিয় খেলোয়ারের চেয়ে নিম্ন মানের। তাই বিদেশি খেলোয়ারের কোটা বাড়ালে ফায়দা কিছু হবেনা বরং আমাদের দেশিয় খেলোয়াররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিপিএল দেশের সবচেয়ে বড় একটা ইভেন্ট। যেখান থেকে দেশ পাবে ভবিষ্যৎ প্রতিভাবান ক্রিকেটার। আমি মনে করি ৮টি বিভাগকে ৮টি দল বানিয়ে বিদেশি খেলোয়ার ৩/৪ জন নেয়া যেতে পারে।