বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান ভারতের অধিনায়ক ভিরাট কোহলি। কোহলির আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাট করে ফাখার জামানের ১১৪, আজহার আলীর ৫৯, মোহাম্মদ হাফিজের ৫৭ এবং বাবর আজমের গুরুত্বপূর্ণ ৪৬ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৩৩৮ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান।

পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেয়া ৩৩৯ রানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার রোহিত শর্মাকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলে পাকিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন পেসার মোহাম্মদ আমির।

রোহিত ০ রানে বিদায় নেয়ার পর ধাওয়ানকে সঙ্গ দিতে নামা কোহলিও উইকেটে বেশীক্ষণ থিতু হতে পারেননি। দলীয় ছয় রানে আজহারের হাতে জীবন পাওয়ার পর ঠিক পরের বলে একই বোলার মোহাম্মদ আমিরের বলে ৫ রান করে শাদাব খানের হাতে ধরা পরেন এই ডানহাতি।

কোহলি ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে নেমেছেন যুবরাজ সিং। যুবরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেস্টা করেন ওপেনার ধাওয়ান। কিন্তু দলীয় ৩৩ রানে মোহাম্মদ আমির আবারও আঘাত হানেন ভারতীয় শিবিরে।

শিখর ধাওয়ানকে ব্যক্তিগত ২১ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ আউট করে পাকিস্তানকে তৃতীয় ব্রেক থ্রু এনে দেন এই বাঁহাতি পেসার। ধাওয়ান ফিরে যাওয়ার পর যুবরাজকে সঙ্গ দিতে নামেন অভিজ্ঞ ধোনি।

ধোনিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে পঞ্চাশ রানের পুঁজি এনে দেয়ার পর তরুণ শাদাব খানের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে কাঁটা পরেন অভিজ্ঞ যুবরাজ। ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন যুবরাজ। এরপরের ওভারেই হাসান আলীকে পুল মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পরেন ধোনি।

ধোনি বিদায় নেন ৪ রান করে। ধোনির বিদায়ের পর কেদার জাদভের সঙ্গে মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেস্টা করেন হার্দিক পান্ডেয়া। কিন্তু তাদের প্রতিরোধে আবারও বাঁধ সাধেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। দলীয় ৭২ রানে কেদার জাদভকে ফেরান তিনি।

জাদভের বিদায়ের পর জাদেজার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে একশো রানের পুঁজি এনে দেন হার্দিক পান্ডেয়া। জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানী বোলারদের উপর ব্যাটিং তান্ডব শুরু করেন পান্ডিয়া।

তুলে নেন ৩২ বলে অর্ধশতক। অর্ধশতক হাঁকানোর পরও পাকিস্তানী স্পিনার বিপক্ষে হাত খুলে খেলতে থাকেন পান্ডেয়া। কিন্তু দলকে দেড়শো রানের উপরে নিয়ে যাওয়ার পর রবিন্দ্র জাজেদার সাথে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে রান আউট হন পান্ডেয়া।

পান্ডেয়া ৭৬ রান করে বিদায় নেয়ার খানিক পর জাদেজাকে ফেরান জুনায়েদ খান। জুনায়েদের শিকার হয়ে জাদেজা ফিরে যাওয়ার পরের ওভারে হাসান আলীর দ্বিতীয় শিকার হয়ে বিদায় সেন অশ্বিনও।

অশ্বিনের বিদায়ে পাকিস্তানের শিরোপা জয় শুধু সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত ১৫৮ রানে অল আউট হয় ভারত। ১৮০ রানের জয় পায় পাকিস্তান। এই জয়ে প্রথম বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ঘরে তুললো পাকিস্তানা।