
টেলিকম রবির সাথে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ছিল। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিসিবির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল রবি। রবি জানিয়েছে, চুক্তিটি প্রাসঙ্গিকতা হারানোয় সরে দাঁড়িয়েছে তারা।
প্রথম বারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় মেয়াদে গত বছরের জুলাই থেকে বিসিবির সঙ্গে নতুন চুক্তি ছিল রবির। চুক্তির আওতায় শুধু ছেলেদের জাতীয় দলই নয়, ‘এ’ দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পাশাপাশি ছিল মেয়েদের জাতীয় দলও। তবে চুক্তির বেশ কিছু শর্ত পূরণ করা, না করা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দুই পক্ষের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল বলে জানা গেছে। পরে আলোচনা করেও সুরাহা খুব একটা হয়নি। সেটির ধারাবাহিকতায়ও এল চুক্তি বাতিলের এই সিদ্ধান্ত।
তবে বিসিবি এখনও চুক্তি বাতিল বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। বিসিবির কেউ এই বিষয়ে এখনও মুখ খুলেনি। তবে রবির কাছে জানতে চাওয়া হলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা নিশ্চিত করেছে বাতিলের সিদ্ধান্তটি।
“বাংলাদশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চলমান পৃষ্ঠপোষকতা বিষয়ক চুক্তিটি প্রাসঙ্গিকতা হারানোয় দেশের ক্রিকেটের গৌরবাজ্জ্বল এই মুহূর্তে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে দায়িত্ব থেকে আমরা সরে দাঁড়াচ্ছি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে ভিন্ন পরিসরে দলের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেলে আমরা কৃতার্থ থাকব।”
এখানে সুনির্দিষ্ট কারণ না জানালেও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, চুক্তির বিভিন্ন শর্ত বিসিবি ঠিকভাবে পালন করতে পারছে না বলে অনেক দিন থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিল রবি। তাতে কাজ না হওয়ায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
২০১৫ সালে প্রথম দফায় বিসিবির সঙ্গে স্পন্সরশিপের চুক্তি হয় রবির। টাকার অঙ্ক আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো না হলেও সেটি ৩০ কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছিল। গত বছরের মে মাসে আবারও দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় রবি। এবারও টাকার অঙ্ক জানানো হয়নি। তবে তা আগের বারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পূরণ করা গেল না চুক্তির মেয়াদ।
যদি তাই হয় তাহলে বাংলাদেশের জর্সিত আর দেখা যাবে না রবি।
