অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিলো বাংলাদেশ দল। সমালোচিত সেই কোয়ার্টার ফাইনালে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ছিলো ভারত।

মাশরাফি বাহিনীকে সেবার ১০৯ রানে হারিয়েছিলো ভারত। ধোনির দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে সংগ্রহ করেছিলো ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রান। এই পাহাড় সম রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৯৩ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশ।

আড়াই বছর পর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে আবারও বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি। বাংলাদেশ দল চাইবেই এই ম্যাচে বিশ্বকাপের স্মৃতি ভুলে যেতে।তবে, টাইগাররা ২০১২ সালের এশিয়া কাপে শচীন টেন্ডুলকারের শততম

সেঞ্চুরির উপলক্ষটাকে ম্লান করে যে জয়টা পেয়েছিলো, সেটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজে লাগাতে পারে এই বৈশ্বিক আসরের সেমিফাইনালে।তবে, ভারতের বিপক্ষে জয় পেতে সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হলো মানসিক শক্তি।

এই মানসিক শক্তির জোড়েই আজ ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ দল নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। নিয়মিত র‍্যাঙ্কিংয়ের উপরে থাকা দলগুলোকেও হারাতে পারছে।এদিকে, বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু মনে করছেন, সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য টাইগারদের মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয়া জরুরি।

এই সাবেক ক্রিকেটারের ভাষ্যমতে, ‘বাংলাদেশের মানসিক প্রস্তুতিটাই বড় বলে মনে করছি। এই সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বাংলাদেশ লড়ই করবে এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে। আশা করছি চমৎকার একটি লড়াই দেখতে পাব।’