চলতি মাসের গত ১৫ আগস্ট ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলি আদালতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্ত্রী সামিয়া। মামলার এজাহারে নির্যাতন, পরনারীতে আসক্তি ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার বিষয়ে সামিয়ার বড় ভাই মোজাম্মেল কবির জানান, পারিবারিক সম্পর্কের সূত্রে মেলামেশা থেকে প্রেমে জড়ান মোসাদ্দেক ও সামিয়া। পরে দুই পরিবার তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

মোজাম্মেল আরও জানান, বিয়ের পর থেকে সব কিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিলো। কিন্তু জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে মোসাদ্দেকের নৈতিক পতন ঘটে। তার দাবি, জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর মদপান ও অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে পড়েন মোসাদ্দেক।

সামিয়ার ভাই বলেন, এই পরিস্থিতিতে সামিয়া মোসাদ্দেককে শোধরানোর অনুরোধ করে। কিন্তু মোসাদ্দেক তার কথা কানে নেয়নি। সে বরং সামিয়ার উপর অত্যাচার করা শুরু করে। এক পর্যায়ে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনকে সামিয়া বিষয়টি জানায়। সুজন সাহেব বিষয়টির সুরাহা করার আশ্বাস দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ফেরার পর মোসাদ্দেক ও সামিয়ার সুজন সাহেবের কাছে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তার আগেই সামিয়ার উপর মোসাদ্দেক অতিরিক্ত অত্যচার করা শুরু করে।

সামিয়ার ভাই জানান, এরপরই মূলত সামিয়া বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ বিষয়ে মোসাদ্দেকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।