
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজেভাবে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ করেছে বাংলাদেশের। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে দাপুটের সঙ্গে জয়লাভ করে বাংলাদেশ শেষ দুই ম্যাচে হেরে যায় লঙ্কানদের কাছে।
এমন হারের পর আলোচনা সমালোচনা এসেছে ক্রিকেট দল। উইকেটের সমালোচনা করে কেউ কেউ দায়ী করছে কিউরেটর দামিনী ডি সিলভাকে। কেউবা সাকিবের ইনজুরির কথা তুলে দিয়েছেন ভাগ্যের দোহাই। আবার ক্রিকেটারদের সমালোচনাকারীর সংখ্যাও কম নয়। এবার এ তালিকায় যুক্ত হলেন চলচ্চিত্র তারকা মাসুদ পারভেজ রুবেল।
টাইগারদের এমন ‘আত্মসমর্পণে’ বেশ চটেছেন ঢাকায় চলচ্চিত্রের এ অ্যাকশন হিরো। তার মতে, ইচ্ছা করেই ফাইনাল ম্যাচটি হেরেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সময় নিউজকে রুবেল বলেন, ‘আমি ক্রিকেট নিয়ে কিছু বলতে চাই। কারণ আমি এটি ভালোবাসি। বিশ্বের কয়েক শত দেশের মধ্যে ক্রিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্মান বয়ে আনছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট নিয়ে যে উচ্ছ্বাস দেখান এবং প্রয়োজনের সময় দেখা যায় যে তিনি মাঠে পর্যন্ত চলে যান। তিনি যেভাবে ক্রিকেটারদের উৎসাহ দেন এবং ভালো কিছু করার সাথে সাথে উনি তাদের বাড়ি-গাড়ি, টাকা-পয়সা দিয়ে ভরে দিচ্ছেন। আমি সেটাকে সাধুবাদ জানাই। তবে, আমার কথা হলো, ক্রিকেটাররা খেলার মাঠে এভাবে আত্মাহুতি কেন দেবো?’
বিশ্বকাপের উদাহরণ টেনে রুবেল বলেন, ‘বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে এক রান হলে ম্যাচটা টাই হয় সেখানে পর পর তিন বলে আমাদের তিন খেলোয়াড় আউট হয়ে গেলেন। আমরা সেই ম্যাচটা জিততে পারলে সেমিফাইনালে যেতে পারতাম। আমরা যেনেশুনে সেখানে আত্মহত্যা করলাম। আমার প্রশ্ন হচ্ছে তাদেরকে আমরা বিচারের সম্মুখীন কেন করালাম না।’
এরপর সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজের কথা টেনে রুবেল কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম ধরে তাদের খেলার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করবো। আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড় হচ্ছে তামিম। সন্দেহাতীতভাবে তার মতো হার্ডহিটার আর নেই। আমি মনে করি সে বিশ্বেসেরা খেলোয়াড়দের একজন। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে একজন ক্রিকেটার যখন প্রথম দিকে বল কানেক্ট করতে পারবে না তখন তাকে ক্রিজে থাকতে হবে। আমার টার্গেটটা হচ্ছে ২২২ রান। এটা খুবই কম। আমি অবেক্ষণ ব্যাটে থেকে যখন কানেক্ট হবে তখন মারা শুরু করবো। তিনি যে শটটি খেলেছেন উনার কাছ থেকে এটি ওই মুহূর্তে আশা করতেই পারি না।’
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে প্রথম দিকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর টাইগার স্বপ্ন দেখাচ্ছিলো মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ জুটি। তবে ঝুঁকি নিয়ে সুইপ শট খেলতে গিয়ে ফিরে যান মুশফিক। তার এমন খেলার সমালোচনা করে রুবেল বলেন, ‘আগের একটি বলে সুইপ করতে গিয়ে আউট হয়ে রিভিউতে বেচে গেলেন। তারপরেই আবার রিভারসুইপ করতে গেলেন এমন কঠিন সময়ে। সেখানে উনি এই ধরণের কাজ করতে পারেন না। এরপর আবার সুইপ করতে গিয়ে তিনি এলবিডব্লিউ হলেন। আমরা তার কাছে কি আশা করছি? অথচ আমরা সমস্ত জাতি তাদের দিতে তাকিয়ে থাকি। তারা ষোল কোটি মানুষকে কাঁদাতে পারেন না।’
