বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে টাইটেল স্পন্সরশিপ চুক্তি করেছিল রবি। সেই স্পন্সরশিপ চুক্তির মেয়াদ ছিলো আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই বাতিল করা হয় অন্যতম মোবাইল সেবাদাতা এ প্রতিষ্ঠানটি চুক্তি।

বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার অন্য মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যক্তিগত চুক্তির জন্য মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানি রবি এই চুক্তি বাতিল করছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।

তবে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মর্তুজারা নিজেদের ব্যক্তিগত সেসব চুক্তি থেকে এরই মধ্যে সরে এসেছেন অথবা সরে আসার প্রক্রিয়ায় ছিলেন। তাই এই বিষয়ে অবগত থাকার পরও রবির সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে বিসিবি প্রধান নির্বাহী দায়ও চাপিয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের ওপর, ‘রবির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। তিনি বলেন, আমাদের কিছু খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত স্পন্সরশিপ নিয়ে তাদের উদ্বেগ ছিল। যেটা নিয়ে আমরা কাজও করছিলাম। সব কিছুই প্রক্রিয়াধীন ছিল। কিন্তু বিষয়টি তো এ রকম নয় যে সুইচ অফ বললেই সুইচ অফ হয়ে গেল। রবি অবশ্য ভেবেছে সেভাবেই।

তিনি আরও বলেন, খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত স্পন্সর ছিল যেসব মোবাইল ফোন কম্পানি, তারাও এর পেছনে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করেছে। সারা বাংলাদেশে তারা এর প্রচারও করেছে। কাজেই এক দিনেই সরে আসাও মুশকিল। এর পরও আমাদের খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত চুক্তি বাতিলের নোটিশ দিয়েছিল। সেটা রবিকে যথাযথভাবে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু এর পরও এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে তারা বিষয়টিকে সম্মান না জানিয়ে সরে দাঁড়াল।’

তবে রবির সাথে চুক্তি বাতিলের দায় এড়াতে পারে না বিসিবিও। তার কারণ ২০১৫ সালে বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকেই অন্য মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত চুক্তি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল রবি। কিন্তু বিসিবি এই বিষয়ে কঠোর না হওয়াতে এভাবেই পেরিয়ে গেছে তিন বছর। যদিও টাইটেল স্পন্সরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক চুক্তি থেকে চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের সরে আসার ক্ষেত্রে আরো আগেই বাধ্য করতে পারত বিসিবি। সেটি না করায় সাকিব এই বছরের মার্চে বাংলালিংকের সঙ্গে চুক্তি শেষ করতে পেরেছেন। তিনি সেটি আর নবায়ন করেননি। তামিম ইকবাল গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করলেও মাশরাফির ব্যাপারটি এখনো প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।

সংবাদমাধ্যমে পাঠানো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে অবশ্য রবি অত কিছুর উল্লেখ করেনি। শুধু চুক্তিটি প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে বলে জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চলমান পৃষ্ঠপোষকতা বিষয়ক চুক্তিটি প্রাসঙ্গিকতা হারানোয় দেশের ক্রিকেটের গৌরবোজ্জ্বল এই মুহূর্তে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব থেকে আমরা সরে দাঁড়িয়েছি।