
মাত্র কয়েকদিন আগেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেশে ফেরে বাংলাদেশ। কিন্তু ফলাফলটি একটু ভিন্ন হতে পারতো। যদিনা রশিদ খান শেষ বলে আরিফুলের হাকানো শটটি অসাধারণ ফিল্ডিং করে আফগানদের না জেতাতেন শফিকুল্লাহ।
ম্যাচটিতে জয়লাভ করে বীরের মত ফিরতে পারতেন আরিফুল। শটটিও নিয়েছিলেন দুর্ধান্ত কিন্তু ভাগ্যে ছিলনা বলেই হয়ত ম্যাচটি জেতা হয়নি বাংলাদেশের। আরিফুল নিজেই বলেছেন এমন একটা সুযোগ হাতছাড়া করায় অনুতপ্ত হয়েছেন তিনি।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে আমার কাছে মনে হচ্ছিলো যে আমি ম্যাচটি জেতাতে পারবো। আর আমি ড্রেসিংরুমেও বলেছিলাম ম্যাচটি জেতাতে পারবো। আর আমি ক্রিজে যাওয়ার পর যখন রশিদ খানকে ফেস করলাম আমি হয়তো তিনটি বল খেলেছি, রিয়াদ ভাই তিনটি বল ফেস করেছে। শেষ বলটি অনেকটা ছিলো ডু অর ডাই। হয় ছয় নাহলে চার মারতে হবে।’
তার সাথে উইকেটে থাকা রিয়াদই সাহস জুগিয়েছিলেন তাকে। তাকে বলেছিলেন বল দেখে যত জোড়ে পারা যায় হিট করতে। এনিয়ে আরিফুল জানান, ‘রিয়াদ ভাই আমাকে বলেছিলেন যে দ্যাখ এতো কিছু চিন্তা করিস না, শুধু বলটি দেখ আর হিট কর। আর এটাই তোর হিরো হওয়ার একটি সুযোগ। হয়তোবা ব্যাটেও লেগেছে, তবে হয়তো কপালে ছিলো না। ক্রিকেট খেলাটি আসলে কপালের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। হয়তো বা হাতে লেগে ছয় কিংবা চার হয়ে যেতে পারতো। তবে কোনোটাই হলো না। আসলে এটি ব্যাড লাক ছিলো।’
নিজের তৃতীয় টি-টুয়েন্টি ম্যাচে হিরো হওয়ার একটি সুযোগ ছিল আরিফুলের সামনে। কিন্তু তা করতে না পারায় একটু হতাশ এই তরুণ অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার আফসোস হচ্ছে যে এত বড় একটি সুযোগ ছিলো আমার কাছে যে আমি কেবল দুটি টি টুয়েন্টি ম্যাচ খেলছি এবং তিন নম্বরটিতে জেতানোর সুযোগ এসেছে অথবা আমি জেতাবো, সবকিছু একটা কৌতূহল জাগছিলো যে আমি যদি জেতাতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো হতো বা একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকতো আমার। বা আমি মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত হয়তো তা মনে থাকতো। কিন্তু ব্যাড লাক যে সেটি হচ্ছে না।’
আফগানদের সাথে তাদের এমনভাবে হারা উচিত হয়নি বলে জানান তিনি। উইন্ডিজদের বিপক্ষে আগামি সিরিজে ভালো করার প্রত্যয়ও তার। তিনি জানান, ‘আফগানিস্তানের সাথে আমাদের জেতা উচিৎ ছিলো। তবে দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটি আমরা চাচ্ছি কামব্যাক করার জন্য। আসলে আমি সব ফরম্যাটেই খেলতে চাই। আর এখন যেহেতু লাল বলে প্র্যাকটিস করছি তাই চিন্তা করে বোলিং করছি। আবার যখন সাদা বলে বোলিং করবো যখন ওয়ানডে এবং টি টুয়েন্টির জন্য বোলিং করবো।’
