ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজের সূচিও চুড়ান্ত হয়ে গেছে। আগামী জুন মাসের ৩, ৫ ও ৭ তারিখে ম্যাচ তিনটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। সব কিছু চূড়ান্ত হওয়া এই সিরিজে হচ্ছে নানা বিচার-বিশ্লেষণ।

অনেকেই বলছে রশিদ-মুজিবদের বিপক্ষে খেলা বেশ কঠিনই হবে টাইগারদের জন্য। এদিকে, আফগানিস্তান এর বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা হয়ে গেছে। কিন্তু মূল একাদশ কেমন হতে পারে? চলুন একটু ভাবা যাক। ওপেনিং এ তামিম ইকবাল যে অটো চয়েজ এটা কাউকে বলে দিতে হবেনা। ফিট থাকলে এবারও ওপেনিং এ দেখা যাবে দেশসেরা ওপেনারকে।

ওপেনিং এ তামিমের পার্টনার হবেন সৌম্য সরকার। বর্তমানে অন্য ফরমেটে খুব ভালো ফর্মে না থাকলেও, টি টোয়েন্টিতে সৌম্যর ব্যাট ভালই হাসছে ইদানিং। তবে পাওয়ার প্লে’তে দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে লিটন দাসকেও খেলাতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।

মিডল অর্ডার তিন নাম্বারে সাকিবের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। এরপরে চার এবং পাঁচে মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের পরীক্ষিত জুটিই হবে সেরা চয়েস। লোয়ার অর্ডারছয়ে সাব্বির এর খেলার সম্ভাবনা বেশি। আর সাতে পেস অলরাউন্ডার হিসেবে আরিফুল হকের খেলার সুযোগ আছে।

আটে মোসাদ্দেক বা মিরাজ। তবে এখানে মোসাদ্দেককে খেলালে ভালো ফল পাওয়া যাবে। কারন সে একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার। টেলএন্ডবোলিংয়ে স্পিনার হিসেবে থাকবে নাজমুল অপু। এরপর পেসার হিসেবে থাকবেন রুবেল আর মুস্তাফিজ। তাহলে দলটা দাঁড়ায় এরকম তামিম, সৌম্য, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ, সাব্বির/আরিফুল, মোসাদ্দেক/মিরাজ, নাজমুল অপু, রনি, রুবেল, মোস্তাফিজ।

এই দলে রয়েছে ৮ জন ব্যাটসম্যান যার মধ্যে অলরাউন্ডার চারজন অলরাউন্ডার ও একজন স্পিনারের সঙ্গে দুই পেসার আছে। আর চার অলরাউন্ডারের মধ্যে আরিফুল পেস অলরাউন্ডার। বাকী তিনজন স্পিনিং অলরাউন্ডার। সেই সঙ্গে সৌম্য খেললে তাকে দিয়েও বোলিং করানো যাবে। র‍্যাংকিং নিয়ে কিছু কথা দল হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের তুলনা না করাই ভালো। আর অনেকেই র‍্যাংকিংয়ের ব্যাপারটা বলে থাকেন। বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়ে টি-২০ অনেক কম খেলে। তাই টাইগাররা র‍্যাংকিংয়ে অনেক পিছিয়ে।