একটি শব্দ আছে সেটা হল তীরে এসে তরি ডোবানো! ক্রিকেটে ধারাভাষ্যকাররা এই শব্দটা খুব বেশি ব্যাবহার করেন। আমরা বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা এইরকম অনেকবারই তীরে এসে তরী ডুবতে দেখেছি। সেইসব ঘটনাগুলো মনে হলেই বুকটা কেমন শুন্য হয়ে যায়। মনে হয়, খেলার ফলাফল অন্যন রকম হতে পারত। আমি যদি আলাদিনের চেরাগ পেতাম তাহলে এই ৫ টা ম্যাচের রেজাল্ট বদলে দিতাম।

৫।  জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ পরাজয় ২০০৬ঃ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৩৬ রান। আগের ৯ ওভারে ইকোনমিক্যাল বোলিং করা মাশরাফির শেষ ওভারে যে এমন ঝড় উঠবে, সেটা কেই বা ভেবেছিল? টেইলর শেষ বলে ৬ মেরে শুধু ম্যাচই জিতলেন না , ভেঙ্গে দিলেন লাখো ক্রিকেটপ্রেমীর মন ও।

৪। বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, পরাজত ২০০৩ঃ হয়তবা এটাই হতে পারত বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। কিন্তু তা হয়নি, টেষ্ট  হয়ে গেছে ক্রিকেটের সবচাইতে বড় আক্ষেপের নাম। ইনজামাম উল হকের অতিমানবীয় এক ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ১ উইকেট এ জিতে যায় ম্যাচটা।

৩। বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা, ঢাকা ২০০৯ঃ বাংলাদেশের সেটাই প্রথম ফাইনাল এবং প্রথম জয় হতে পারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১৫৪ রান সংগ্রহ করে। মাশরাফি, নাজমুলের তোপে ৬ রানেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। একজন সাঙ্গাকারা আর হঠাৎ ব্যাটসম্যান বনে যাওয়া মুরালীধরন ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় প্রথম শিরোপা জয়ের সুযোগ।

২। বাংলাদেশ বনাম ভারত, বেঙ্গালুরু ২০১৬ঃ ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে এটাই সেরা আক্ষেপের গল্প। ১৪৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ১০ রান। সেটা হয়ে গেল ৩ বলে ২ রান। কিন্তু সেই সমীকরণ আর মিললো না। ১ রানের ওই হারটা আমরা হয়তো মনে করতে চাইবোনা। কিন্তু বারবার নিজের অজান্তেই মনে পরে যাবে।

১। বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, ঢাকা ২০১২ঃ পাকিস্তানের দেয়া ২৩৬ রানের লক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই ম্যাচে ২ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। কান্নাভেজা সাকিবের বুকে মুখ লুকিয়ে মুশফিকের কান্নার কথা মনে পরলে নিজের চোখেও অজান্তেই পানি চলে আসে। এখানে আরো কিছু ম্যাচ আসতে পারত। কিন্তু আমার যেগুলো সেরা মনে হয়েছে আমি সেগুলোই রেখেছি।