বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের। বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসে রয়েছে ২০টি দুর্দান্ত রেকর্ড যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ৯টি রেকর্ড যা সারাজীবন স্মরনীয় হয়ে থাকবে।

চলুন দেখে নেই ৯ টি রেকর্ড

মোহাম্মদ আশরাফুল: ৬ সেপ্টেম্বর ২০০১। অভিষেকের দিনে দুটো রেকর্ড গড়েন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিস্ময় বালক আশরাফুল। সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেন একই ম্যাচে যেটা সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির রেকর্ডও। ক্রিকেটের বিবর্তনে ফলে এখন ২০ বছরের আগে জাতীয় দলে অভিষেক অকল্পনীয়। সেখনে বড়জোড় অনূর্ধ্ব-১৯ খেলে কেউ দ্রত খেলে ফেলতে পারে জাতীয় দলে সেক্ষেত্রেও কিন্তু বয়স হয়ে যাবে ১৮ এর বেশি। তারও কম বয়সে যদি কারও অভিষেক হলে সেটা টেস্টে হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর যদি অভিষেক হয়েও যায় রেকর্ডটা ভাঙা সহজ হবে না। কারণ ওই বয়সে কারও পক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরি করা অনেকটা অসাধ্য সাধন করেই দেখোনো। ৬ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় গড়া সেই রেকর্ড তাই টিকে যেতে পারে আরও ১০০ বছর।

সোহাগ গাজি : ১৩ অক্টোবর ২০১৩, চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে প্রথমে সেঞ্চুরি এবং পরে বল হাতে হ্যাট্রিক করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন বাংলাদেশের তরুণ অফ স্পিনার সোহাগ গাজী। বাংলাদেশ দলে সাকিব আল হাসানের পর একমাত্র তিনিই কোন একটি টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি এবং পাঁচের বেশি উইকেট নিলেন।প্রথম ইনিংসে আট নম্বর ব্যাটসম্যান হিসাবে ক্রিজে নেমে টেইল-এন্ডারদের সাথে সেঞ্চুরি করেন সোহাগ। ১০১ রান করে অপরাজিত থাকার পর নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে একটি হ্যাট্রিকসহ ছয়টি উইকেট নেন এই অফ স্পিনার। ১৩৬ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এই ঘটনা এই প্রথম। যে কারনে প্রথম হিসেবে এমন বিরল রেকর্ড গড়ায় সেটা আর কেউ ভেঙে ফেলতে পারবে না।

তামিম ইকবাল খান : ২০১৬ মার্চ। বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান ও ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে রেকর্ডবুক নতুন করে লিখতে বাধ্য করেন চট্টগ্রামের এই ফায়ারবাক্স। ছাড়া তামিম ইকবালে ঝুলিতে রয়েছে দলের হয়ে সব ফর‌ম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি, ফিফটি, বেশি চার ও বেশি ছক্কা হঁকানোর রেকর্ডও্ সেসব ছাপিয়ে প্রথম দুটো রেকর্ডই অমরত্ব পেয়ে গেছে। যেটা আর কারও পক্ষেই ভাঙা সম্ভব হবে না।

সাকিব আল হাসান: ২০১৫ নভেম্বর। সবাই তাকে মিস্টার অল রাউন্ডার হিসেবেই চিনেন। এরই মধ্যে গড়ে ফেলেছেন বেশ কিছু বিশ্ব রেকর্ড। একই ইনিংসে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট, ১০ উইকেটও নিয়েছেন । সেসব ছাপিয়ে তার যে রেকর্ড ক্রিকেট বিশ্বে অমরত্ব পেতে পারে সেটি হলো প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একই সাথে ৩ ফরম্যাটেই বিশ্বের শীর্ষ অল রাউন্ডার হওয়া। এক সাথে যেখানে ৩ ফরম্যাটের দলে জায়গা ধরে রাখাই কঠির সেখানে ৩ ফরম্যাটে এমন কীর্তী গড়া প্রায় অসম্ভবই। যিনি এই রেকর্ড ভাঙবেন তাকে স্পোশাল প্রতিভা নিয়েই জন্ম নিতে হবে। আর যদি ভেঙেও ফেলেন তার পরও সাকিবের এই কীর্তি টিকে থাকবে কোটি বছর। কারণ প্রথম হিসেবে এই রেকর্ড গড়ার সুযোগ আর কারও নেই।

মুমিনুল হক: টেস্টে অভিষেকের পর থেকে টানা ১৩ টেস্টেই খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। যেটা একটা বিশ্ব রেকর্ড। ভিলিয়ার্সেরও ১৩ টেস্টে ফিফটি প্লাস রান করার রেকর্ড থাকলেও অভিষেকের পর গত ১৩৬ বছরের ইতিহাসে এমটা আর কোন ব্যাটসম্যান করে দেখাতে পারেন নি।