তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। জয়ের দাড়প্রান্তে গিয়েও শেষ ওভারে পরাজিত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।  ম্যাচ শেষে দায়ী করা হয় বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিং আর শেষ মুহুর্তে ব্যাটিং ব্যর্থতা। তবে আসামীর আসনে রয়েছে আরও এক জন। সেটি ডিআরএস নিয়ে আইসিসির একটি নিয়ম।

আইসিসির নিয়মে, কোনো ডেলিভারিতে আম্পায়ার আউট দিলে ও রিভিউ নিয়ে আউট হওয়ার থেকে বেঁচে গেলেও ঐ ডেলিভারিতে ব্যাটিং দলে রান যোগ হয় না। কেননা সেই বলটি ‘ডেড’ বল হিসেবে ধরা হয়, তবে যোগ করা হয় বলের সংখ্যা।

বাংলাদেশের বাটিংয়ের সময় ৪৩তম ওভারে বোলার দেবেন্দ্র বিশুর বলে রিভার্স সুইপ খেলে মুশফিক। সেই বল মুশফিকের প্যাডে লেগেছে মনে করে বোলার-ফিল্ডাররা আউটে আবেদন করে। আম্পায়ারও সেই আবেদনে সারা দিয়ে দেয়।

কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রিভিউ করে মুশফিক। রিভিউয়ে দেখা যায়, এটি আউট হননি। ফলে সে যাত্রায় বেঁচে যান ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

তবে এ নিয়েই বিতর্ক দানা বাঁধে ম্যাচ শেষে। এর কারণ, ঐ বলে মুশফিকের ব্যাটের কানায় লাগা বল (দেখে মনে হয়েছিল প্যাডে লেগেছে) উইকেটরক্ষকের পাশ দিয়ে চলে যায় সীমানার বাইরে। আম্পায়ার আউটের ভুল সিদ্ধান্তটি না দিলে বাংলাদেশের এক্ষেত্রে চার রান যোগ হত। আর বাংলাদেশ যে ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে (৩ রান), তা এই ৪ রানের চেয়েও কম।

ম্যাচ শেষে তাই সমালোচনা চলছে এ নিয়ে। ক্রিকেট বোদ্ধাদের দাবি, আম্পায়ার ঐ ভুল সিদ্ধান্ত না দিলে বাংলাদেশের ইনিংসে যোগ হত আরও চারটি রান, যা দূর করতে পারত পরাজয়ের আক্ষেপ।