শুরুটা ভলিবল দিয়ে আকাশের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে বিমানবাহিনীতে যোগদানের পর। এখন তিনি ক্রিকেটের গতির ঝড় তোলার অপেক্ষায়। তিনি সিলেটের মৌলভীবাজারের এবাদত হোসেন। বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের এই তরুণ ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করে হয়েছেন পেসার হান্টের সেরা গতির বোলার।

এরপর জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হাই পারফর্মেন্স ইউনিট (এইচপি) ক্যাম্পে। এবাদত হোসেন আগে পাড়ার মাঠে মাঝে-মধ্যে ক্রিকেট খেলেছেন। ক্যারিয়ারের টানেই যোগ দেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে। ছিলেন বিমানবাহিনীর ভলিবল দলের নিয়মিত খেলোয়াড়।

চাকরি করেন আকাশ রক্ষার মিশনে, সেখানে সময়ে-সুযোগে মিললে খেলেন ভলিবল। বিমানবাহিনীর ভলিবল দলের খেলোয়াড়ই তিনি। দীর্ঘ সময়ের খেলা বলে ক্রিকেট নেই বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীগুলোতে। তাই ভলিবল নিয়েই মেতে থাকতেন তিনি।

সেই এবাদত এবার ভলিবল খেলোয়াড় থেকে পুরোই গতিদানব। বাংলাদেশের নেক্সট রুবেল হোসেন বলা যেতে পারে তাকে। রবি পেসার হান্ট কার্যক্রমে যেমন উঠে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের গতিদানব বাগেরহাট এক্সপ্রেস রুবেল, তেমনি রবি পেসার হান্ট কার্যক্রম দিয়েই গতিদানবের পরিচয়টা দিলেন এবাদত হোসেন।

১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করা পেসারের সংখ্যা নেহাতই হাতেগোনা কয়েকজন। রুবেল, তাসকিন পরেই হয়তো স্থান হবে এবাদতের। তার সাথে লাইন-লেংন্থ ঠিক রেখে বল করা এবাদত নিজের যোগ্যতা দিয়েই জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স ইউনিট এইচপিতে।

আর এই এইচপি থেকেই আগামীতে যোগান দেওয়া হবে জাতীয় দলের খেলোয়াড়। যেটাকে বিসিবি’র কর্মকর্তারা অবহিত করছেন জাতীয় দলের পাইপ লাইন হিসেবে। জাতীয় দলের খেলোয়াড় বেছে নিতেই বিসিবি’র এমন আয়োজন।

যেখানে জাতীয় দলের খুব কাছেই দাঁড়িয়ে আছেন এবাদত হোসেন। এইচপিতে ভালো পারফর্ম করলে ঘরোয়া ক্রিকেটের বড় আসরগুলোতে খেলার সুযোগ মিলবে সহজেই। আর সেখানেই এই গতিদানব বলের গতি ঠিক রেখে লাইন-লেংন্থে বল করে সফলতা পেলেই পৌঁছে যাবেন স্বপ্নের ঠিকানায়।

বিমানবাহিনীর চাকুরীজীবি এবাদত হোসেন হয়ে উঠবেন ক্রিকেট তারকা-এটা হয়তো অনেকে কল্পনাও করেননি। তবে এটা সত্য যে, তিনি