
বিপিএলের প্রথম পর্ব অর্থাৎ গ্রুপ পর্ব শেষে এই সাত আইকনের কেমন গেল বিপিএলের এবারের আসরটি। চলুন একনজরে দেখে আসি!
বিপিএলে প্রতিটা দলেই একজন করে আইকন প্লেয়াঅর আছেন। সাত দলের সাত আইকন প্লেয়ার হল- তামিম (কুমিল্লা), সাকিব (ঢাকা), মাহমুদউল্লাহ (খুলনা), মাশরাফি (রংপুর), সাব্বির (সিলেট), মুশফিক (রাজশাহী), সৌম্য (চিটাগং)
১/তামিম ইকবালঃ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অন্যতম ও সেরা আইকন তারকা বিপিএলের চারটি ম্যাচেঈ খেলতে পারেননি বাকি ৮ ম্যাচে তার রান ২৬৫। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ৬৪। এই সময়ে দু্ইবার অর্ধশতক হাকান এই ওপেনার।
২/সাকিব আল হাসানঃ ঢাকা ডায়নামাইটসের আরেক সেরা অলরাউন্ডার আইকন প্লেয়ার ব্যাট হাতে এবারের বিপিএলে নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি। ১১টি ম্যাচ খেলে করেছেন ১৭৬ রান। তবে কোন অর্ধশতক করতে পারেননি সাকিব। সর্বোচ্চ রান তার ৪৭ তবে বল হাতে সবচেয়ে উজ্জল সাকিব। ১১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট দখলে নিয়েছেন এই তারকা।
৩/মাহমুদউল্লাহ রিয়াদঃ ধারাবাহিকতার আরেক প্রতীক খুলনার আইকন অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিপিএলে দারুন ধারাবাহিক এই তারকা ১১ ম্যাচে করেছেন ২৯২ রান। এক ইনিংসে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর ৫৯। অর্ধশতক স্পর্শ করেছেন ২ বার। বল হাতেও ভালো করেছেন তিনি। ৬টি উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
৪/মাশরাফি বিন মর্তুজাঃ বিপিএলে নিজের জাত নতুন করে চেনালেন দেশের সবেচয়ে শ্রদ্ধাভাজন এই ক্রিকেটার। নেতৃত্বগুনে মুগ্ধ করেছেন পুরো দেশবাসীকে। বল এবং ব্যাট হাতে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি। ১১ ম্যাচে ১৩১ রান করেছেন এই তারকা। সর্বোচ্চ রান ৪২। বল হাতেও ছিলেন মিতব্যায়ী। নিয়েছেন ১৩টি উইকেট।
৫/সাব্বির রহমানঃ সিলেটের আইকন সাব্বির রহমান ব্যাট হাতে ভালই খেলেছেন এই বিপিএলে। প্রথম দিকে রানের জন্য লড়াই করা এই তারকা ১১ ম্যাচে করেছেন ২১১ রান। তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর ৭০ রান। আর এই একবারই পেরিয়েছেন অর্ধশতক। তার দলও বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই।
৬/মুশফিকুর রহীমঃ বিপিএলটা মোটেও ভালো কাটেনি রাজশাহী কিংসের আইকন মুশফিকের।১২টি ম্যাচে করেছেন মাত্র ১৮৫ রান। অথচ তার কাছ থেকেই আশা ছিল বেশি। আর মুশফিকের এমন খারাপ করার সাথে সাথে তার দলও বিদায় নিয়েছে বিপিএলের গ্রুপ পর্ব থেকেই।
৭/সৌম্য সরকারঃ চিটাগং ভাইকিংসের আইকন সৌম্য সরকার নিশ্চিত ভাবেই এই বিপিএলটা ভুলে যেতে চাইবে। কারন ১১ ম্যাচে তার সংগ্রহ মাত্র ১৬৯ রান। জাতীয় দলের একজন ওপেনারের কাছ থেকে নিশ্চিত দর্শক ও ফ্রাঞ্চাইজি আরো বেশি কিছু প্রত্যাশা করে। ট্রুনামেন্টে একবারো অর্ধশতকের গন্ডি পেরুতে পারেননি সৌম্য। তার সর্বোচ্চ রান ৩৮। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, তাকে সবাই হার্ড হিটার হিসেবে চিনলেও এই বিপিএলে তার সেই হার্ডহিটার নামটি চাপা পড়ে গিয়েছিল। কারন টুনামেন্টে তার রানের চেয়ে বলের সংখ্যা বেশি। ১৬৯ রানের বিপরীতে ১৭২ বল খেলতে হয়ে তাকে।
