
চলতি ববছরের ২ নভেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। দিন হিসেব করেদেখ বিপিএল শুরু হতে এখনো বাকি আছে ৮৪ দিন । তাই দল শেষ মুর্হুতের কাজ সমাধাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিপিএল গভর্নিং বোর্ড।
এবার বিপিএলের আসরে মোট আটটি দল খেলার কথা থাকলেও শেষ মুর্হুতে বাদ পড়েছে বরিশাল বুলস। আর তাতে বিপদে পড়বে দেশি ক্রিকেটাররাও।
সেটি কিভাবে? কারণ এবারের বিপিএলের নতুন নিয়মে প্রতি টিমের একাদশে সর্বোচ্চ পাঁচ জন বিদেশি ক্রিকেটার রাখার কথা রয়েছে। যদিও ১ম ও ২য় আসরে পাঁচজন বিদেশি ক্রিকেটার একাদশে খেলেছিলো । এবার বিপিএল পঞ্চম আসরে আগের নিয়মেই কাজ করছেন বিপিএল বোর্ড। আয়োজরা বলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চাওয়াতেই পাঁচজন বিদেশি ক্রিকেটার একাদশে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
একাদশে বিদেশি খেলোয়ারের সংখ্যা বাড়ায় এবং দল কমে যাওয়ায় দেশি ক্রিকেটারদের দল পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। দল কমলেও বিদেশি ক্রিকেটারের সংখ্যা কমানো হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। ফলে দেশি ক্রিকেটাররা সুযোগ পেতে হিমসিম লাগতে পারে।
প্রতি দলে দেশি ক্রিকেটারের সংখ্যা থাকবে সর্বোচ্চ ১৩ থেকে ১৪ জন। সাত দলে এ সংখ্যা ৯১ থেকে ৯৮ জন দারায়। দল কমায় বাংলাদেশের ১৩ ক্রিকেটারের কপাল পুড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জাতীয় দল ও এইচপি দলের ক্রিকেটারদের বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা পারফরমাররাই বিপিএলে খেলবেন বলে জানানো হয়েছে । আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর হবে প্লেয়ার বাই চয়েজ। সেখানেই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ক্রিকেটারদের দলে টানবেন।
যদিও বিদেশি ক্রিকেটারের সংখ্যা না কমানোর সিদ্ধান্তে অটুত আয়োজকরা। ইসমাইল হায়দার মল্লিক বললেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চাওয়াই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পাঁচ বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর । এখন দল কমেছে, কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পক্ষ থেকে আপত্তি আসবে। ফলে পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে নতুন করে বিদেশি ক্রিকেটার কমানো আমাদের পক্ষে কঠিন একটি কাজ।’
