বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) শুধু ক্রিকেটপ্রেমীদর জন্য বিনোদন নয়, তারকা তৈরী করার টুর্নামেন্টও। বিপিএল থেকে জাতীয় দলে এসেছিলেন সাব্বির মুমিনুলের মতো তারকরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা যে সাহস দেখাচ্ছেন – এর অবদান বিপিএল। সব দিক দিয়ে বিবেচনা করলে বিপিএল বিসিবির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। একমাত্র লাভজনক ঘরোয়া ক্রিকেট লিগও বটে।

এই বিপিএল থেকে বিসিবির একটা উল্লেখযোগ্য আয় আসে । বিগত চার আসর মিলিয়ে প্রায় ১২০ কোটি টাকা আয় হয়েছে বিসিবির। এবারের আসরে ৩০ কোটি টাকার মতো আয় হবে বলে জানা গেছে।

মান পাঁচ আসর থেকে বিসিবির আয় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। টাইটেল স্পন্সর, টিভি রাইটস,  ম্যাচ টিকেট বিক্রি, মাঠের বিলবোর্ড ইত্যাদি থেকে টাকা আসে বিসিবির ফান্ডে।জানা গেছে, বিপিএলের সামনের আসরে আরো দুই একটা দল বাড়তে পারে। বাড়বে বিসিবির আয়ও।

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হলেও বিসিবি বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট সংস্থার একটি। বিপিএল’এর সফল আয়োজন বিসিবির ফান্ড আরো সমৃদ্ধ করছে বছর বছর। বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিটই ৫০০ কোটি টাকার মতো। এছাড়াও আরো ভালো অঙ্কের অর্থ রয়েছে বিসিবির অ্যাকাউন্টে।

বিসিবির আয়ের প্রধান উৎস অবশ্য আইসিসি। গত সাত বছরে আইসিসি থেকে ৭০০ কোটি টাকার উপরে পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সামনের বছরগুলোতে বিসিবির আয় আরো বাড়বে। আগামী আট বছরে শুধু আইসিসি থেকে বিসিবির ফান্ডে জমা হবে এক হাজার কোটি টাকার উপরে। এছাড়া অন্যান্য খাতের আয় তো আছেই।