বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিপিএল।কিন্তু বিপিএলের ৫ম আসর চলার সময় এক সাংবাদিককে নাতিদীর্ঘ এক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো। সকল ধরণের টুর্নামেন্ট চলার সময় এমন সাক্ষাৎকার তো স্বাভাবিক ব্যাপারই। তবে এই ব্যাপারটা আর স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকেনি সেটা প্রকাশ হয়ার পর কারো জন্য কাল হয়ে ধারায়। ওই সাক্ষাৎকারের সূত্র ধরে জাতীয় দলে ফেরার দরজাই যে বন্ধ হয়ে গেল এ অলরাউন্ডারের!

ঘটনায় আসা যাক। বিপিএল চলার সময় ওই সাক্ষাতকারের বলা হয়, জাতীয় দলে খেলতে আর আগ্রহী নন ব্রাভো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাঠ চুকিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

এবার ২০১৯ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলার জন্য ব্রাভোকে দলে রাখেনি। কারণ হিসেবে ওই সাক্ষাতকারটিকে টেনে এনেছেন ক্যারিবীয় বোর্ডের নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক কোর্টনি ব্রাউন।

ক্যারিবীয় বোর্ডের হয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ডোয়াইন ব্রাভোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করিনি, কারণ তিনি এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আর খেলতে চান না।’

ব্রাউনের এই কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়েছেন ব্রাভো। সে সময় ব্রাভো বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, গত ছয় মাসে আমার সঙ্গে বোর্ড চেয়ারম্যান কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের কারও কথা হয়নি। আমাদের মধ্যে শুধু একবারই কথা হয়েছিল ২০১৬ সালে দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলার সময়। যখন তিনি বলেছিলেন, আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের বিষ, আমি তরুণদের জন্য বাজে দৃষ্টান্ত। হাস্যকর।’

এরপর ব্রাভো ব্যাখ্যা করেন বিপিএলে সাক্ষাৎকারে তিনি মূলত কি বলেছিলেন। ২৪ বছর বয়সী ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আমি সম্প্রতি যা বলেছিলাম তা হলো, আমি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা দেখছি না। আমার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও। কারণ হলো বোর্ডের সঙ্গে আমার যোগাযোগের অভাব রয়েছে।’

তার ক্যারিয়ারটা নির্বাচকদের অবহেলার কারণেই শেষ হয়ে যাচ্ছে, অভিযোগ ব্রাভোর। আক্ষেপভরা কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি ২০১০ সালে ২৬ বছর বয়সে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ি। কবে সুযোগ পাব, নির্বাচকদের কাছে জিজ্ঞেস করতে করতে হতাশ হয়ে ২০১৫ সালে অবসর নেই আমি। ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে থেকেও বাদ দেয়া হয় আমাকে। আমি কখনই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে অগ্রাহ্য করিনি, বরং তারাই আমাকে অগ্রাহ্য করেছে।’