তার নাম মার্কো অ্যান্টোনি।ব্রাজিলের খুদে এক বালক। বেশিরভাগ মানুষ চেনে মারকুইনহো নামেই। বয়স মাত্র ৬। তাতেই তার পায়ের কাজে মুগ্ধ বিশ্বের সেরা সেরা ক্লাব যে তালিকায় আবার আছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সালোনার মত ক্লাবও। তার পায়ের কারুকার্য অনেকটাই নেইমারের মত। আর এই বয়সেই তার ফুটবল কারিশমায় মুগ্ধ ফুটবল দুনিয়া। তবে এই খুদে বালক আক্রান্ত বিরল এক রোগে।

তার রোগটা অনেকটাই লিওনেল মেসির মত। তবে রোগটা একই পর্যায়ের না হলেও এটাও বিরল। ‘ক্রোন’ রোগে আক্রান্ত এই বিস্ময় বালক। যেটা কিনা শরীরের ওজন হঠাৎ করেই কমিয়ে দেয়। মারকুইনহোর পরিবার মনে করছে, আরেকটা মেসি হওয়ার পথে তাদের মারকুইনহো। যদি এই দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা করা সম্ভব হয় তবে মারকুইনহোর সব ধরণের ক্ষমতাই আছে সেরাদের সেরার কাতারে পৌঁছানোর।

ইতিমধ্যেই তার ভিডিওগুলো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ইন্সটাগ্রাম , ইউটিউবসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। অসম্ভব রকমের বল নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা, বলে শট নেওয়ার ক্ষিপ্রতা, মাঠে বল পায়ে বিভিন্ন স্কিল ইতিমধ্যেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে।

মার্কোর বলের সাথে এরকম সখ্যতা দেখে ইতিমধ্যেই ব্রাজিলিয়ান অনেক ফুটবলবোদ্ধা তাকে পরবর্তী নেইমার বলে আখ্যায়িত করছেন। বলে তার ছোঁয়া, কৌশল, পাস দেওয়ার সক্ষমতা আর ড্রিবলিং অনেকটাই নেইমারের মত। তাই ছোট্টও এই বালকের প্রশংসা করতে কেউ কার্পণ্য করছেন না।

মার্কো সম্পর্কে তার কোচ এডসন ইয়োশিতার ভেমাও বিশ্বাস করেন, সামনে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, ‘যখন মাঠে আপনি হাল ছেড়ে দিবেন মার্কো আপনাকে শক্তি যোগাবে। মাত্র ছয় বছর বয়সী অসুস্থ এক শিশু যখন মুখভরা হাসি নিয়ে মাঠে খেলতে আসবে, তা দেখলে সত্যিই আপনার মন জুড়িয়ে যাবে। আর এটাই ফুটবলের সৌন্দর্য!’

আর এই ব্রাজিলিয়ান বিস্ময় বালককে পেতে পরিবারের সাথে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে বার্সালোনার একাডেমি লা মাসিয়া। আর লা মাসিয়ার এই আগ্রহের কারনেই সবাই মনে করছেন রোগকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ফুটবল বিশ্ব শ্বাসন করবেন এই বালক।