২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার স্মৃতির মতোই ১৯৫০ সালের স্মৃতি ছিলো ব্রাজিলের সামনে। সেই সময় ১৯৫০ সালে নিজেদের স্টেডিয়াম মারকানায় ফাইনালে উরুগুয়ের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল।

সেই ফাইনাল ম্যাচে শেষ মূহুর্তে একটি গোল করে ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় উরুগুয়ে। সেই স্মৃতিতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে ব্রাজিল। এমনকি দেশটিতে ঘটে যায় সুইসাইডের মতও ঘটনা।

সেই কাহিনী ভুলে থাকার চেষ্টা করলো ব্রাজিল। সেই হারের স্মৃতি, সেই দল, এমনকি সেই সাদা জার্সি, নীল শর্টস আর সাদা মোজা; সব ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্রাজিলিয়ানরা। সেই সময় ব্রাজিলের সাদা জার্সিতে ছিল না দেশের কোনো ছাপ। পতাকার সবুজ রঙে যে বিশাল বনভূমি, সোনালি হলুদে যে খনিজ সম্পদের চিহ্ন, নীল পৃথিবী ও সাদা তারায় যে রিও ডি জেনিরোর সুবিশাল আকাশকে বোঝানো হয়—কিছুই ছিল না ব্রাজিলের সেই সাদা জার্সিতে। আর তাই ব্রাজিলিয়ানদের ‘মারাকানাজ্জো’ দুঃখে এই জার্সি হলো বলির পাঁঠা—তারা ভেবে নিল এই জার্সিটাই বেশ সুন্দর।

১৯৫৩ সাল, পত্রিকায় খবর প্রকাশ করা হল ডিজাইনারদের কাছ থেকে ব্রাজিলের জার্সির ডিজাইন নেওয়া হবে। ডিজাইনে নানা রঙ হলে চলবে না। থাকতে হবে দেশের ছাপ। নিজেদের জাতীয় পতাকার মতো। আর ডিজাইনগুলোর মধ্যে সেরা জার্সি পরেই ১৯৫৪ বিশ্বকাপের মাঠে নামবে ব্রাজিল দল। সেই ডিজাইঙ্গুলোর মধ্যে ৪০৮ টি জার্সি পড়ে। তার মধ্যে হলুদ জার্সিটি পছন্দ হয় সবার। সেই জার্সি পড়েই পরবর্তী বিশ্বকাপে মাঠে নামা শুরু করে ব্রাজিল।