
দলটির জয় পেতে এতটাই কষ্ট হত যে তাদের খেলা দেখলে মনে হত ব্রাজিল নয়, তাদের প্রেতাত্মারা খেলছে। ২০১৪ বিশ্বকাপের পর থেকেই সেই দুর্দশা চলছিল। টানা দুটি কোপা আমেরিকায় ব্যর্থতা ও বাছাই পর্বে পিছিয়ে থেকে বিশ্বকাপে জায়গা হারানোর শঙ্কাও চেপে বসেছিল সমর্থকদের মনে।
এরপর দুঙ্গার যুগ শেষ হলো। তাকে বরখাস্তের পর দায়িত্ব দেয়া হল তখনকার কারন্থিনিয়াস কোচ টিটেকে। আর তাতেই পাল্টে গেল ব্রাজিলের চেহাড়া।
টিটের অধিনে ব্রাজিল সব মিলিয়ে ২০টি ম্যাচ খেলেছে। এরমধ্যে ১৬টি ম্যাচে জিতেছে। ড্র করেছে ৩টি ও হেরেছে একটি ম্যাচে।
ব্রাজিল টিটের অধিনে যে একটি ম্যাচ হেরেছে সেটাও অনেকটাই ভাগ্যের কারনেই বলা যায়। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেটা ছিল প্রীতি ম্যাচ। আর এই ম্যাচটিকে গুরুত্বহীন বলে দলের একাধিক সেরা তারকাকে বিশ্রাম দিয়ে নতুনদের নিয়ে সাজিয়েছিলেন সেই দলটি। তবে নতুন সেই ব্রাজিলও আর্জেন্টিনাকে নাকানিচুবানি খাইয়েছিল। যদিও জয় সূচক একটি গোল এসেছিল আর্জেন্টিনারই। তবে খেলাতে এগিয়ে ছিল ব্রাজিলই।
সেই একটি ম্যাচ ছাড়া আর কোন ম্যাচেই হারেনি ব্রাজিল। টিটের অধিনে খেলা এই্ ২০ ম্যাচের ১৫টিতেই ক্লীনশিট ধরে রেখেছে থিয়াগো সিলভা, মিরান্ডারা। প্রতিপক্ষে জালে করেছে ৪৪টি গোল। বিপরীতে মাত্র ৫ গোল হজম করতে হয়েছে তাদের।
টিটের এই ব্রাজিলের কাছে জার্মানীর মত দলও হেরেছে। হেরেছে আর্জেন্টিনা, চিলি, ক্রোয়োশিয়া, উরুগুয়েরাও। বিশ্বকাপেও ব্রাজিলের এমন দুর্দান্ত জয়রথই কাম্য ভক্তদের।
