
দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পর্দা ওঠার আর মাত্র ৩ দিন বাকি। দুরু দুরু বুকে ফুটবলপ্রেমীরা ক্ষণগণনা শুরু করে দিয়েছেন নিশ্চয়ই। এক মাস সারা পৃথিবীকে এক সুরে বেঁধে রাখবে সেই এক খেলা। সারা বিশ্ব জুড়ে কয়েক কোটি মানুষ টিভির পর্দাতেই রোনালদো, মেসি, নেইমারদের পায়ের জাদুতে মগ্ন হবেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে এসে গেল ফুটবল বিশ্বকাপের মৌসুম। দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের মাসকট ‘জাভিবাকা’।
তবে গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়া নিয়ে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স সমর্থক প্রেমীদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে ২০০২ বিশ্বকাপ।
বিংশ শতাব্দীর প্রথম বিশ্বকাপ ২০০২ সালে বসে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে। এশিয়ার প্রথম বিশ্বকাপ বলে এই বিশ্বকাপের হাঁকডাক পড়ে গিয়েছিল পুরো বিশ্বে। প্রথমত, এশিয়া মহাদেশে ফুটবল বিশ্বকাপ কেমন আয়োজন হয়, সেটাই ছিল বড় প্রশ্ন। হতাশ করেনি আয়োজকরা।
পুরো বিশ্বকেই চমকে দিয়েছিল। আর্থিকভাবেও লাভবান হয়েছিল ফিফা। তাই দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান বিশ্বকাপ সবার মধ্যে আলাদাভাবে দাগ কেটে আছে। সেবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ দুই দেশে আয়োজন করে আয়োজকরা।
ব্রাজিল পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করে। ফাইনালে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপায় চুমু খান রোনালদো, রোনালদিনহোরা। চায়না, ইকুয়েডর, সেনেগাল এবং স্লোভেনিয়া প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয়। এ ছাড়া চমক দেখায় তুর্কি। তারা তৃতীয় স্থানে উঠে আসে এবং দক্ষিণ কোরিয়া খেলে সেমিফাইনাল। সেমিফাইনালে উঠতে স্পেন, ইতালি এবং পর্তুগালকে হারায় তারা।
২০০২ বিশ্বকাপ ইউরোপ ও আমেরিকার বাইরে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের ১০টি করে মোট ২০টি ভেন্যুতে ৩১ মে থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত চলে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। এই বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অংশ নেয় রেকর্ড ১৯৯টি দেশ। ৩২টি দল খেলে চূড়ান্তপর্বে।
বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন অলিভার কান। জার্মান এই গোলরক্ষক পুরো আসরে মাত্র ৩ গোল হজম করেন। ৮ গোল করে রোনালদো হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। সেরা তরুণ খেলোয়াড় নির্বাচিত হন লন্ডন ডনোভান ।
