সারা বিশ্বের মুখে হাসি ফুটিয়ে জার্মানিকে উড়িয়ে দিল ব্রাজিল।  যুবভারতী আজকে ভরিয়ে দিয়েছিল কলকাতার ফুটবলপ্রেমী মানুষ। ব্রাজিলের শিল্প বনাম ইউরোপের গতিময় ফুটবলে জার্মানি।

আক্রমণ -প্রতিআক্রমণে প্রথম থেকেই জমে ওঠে ম্যাচ। শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করলেও এদিন পরপর কতগুলি সহজ সুযোগ নষ্ট করে ব্রাজিল। উল্টে বক্সের মধ্যে ফাউল করার অপরাধে ২১ মিনিটে পেনাল্টি পায় জার্মানি।

সেখান থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি জার্মানির কিশোর স্ট্রাইকার ইয়ান ফিটো আর্প। প্রথমার্ধে অনেক চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেনি ব্রাজিল।  দ্বিতীয়ার্ধে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপায় ব্রাজিল।

দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্তক হিসেবে নামা ওয়েভারসন দলকে সমতায় ফেরান। হঠাৎই যেন প্রাণ পেয়ে যায় যুবভারতীর গ্যালারি। মাঠের চিৎকারে বোঝার উপায় ছিল না খেলা সাও পাওলোয় হচ্ছে না কলকাতায় হচ্ছে। কলকাতার শব্দব্রহ্মের জাদুতে যেন চাঙ্গা হয়ে ওঠে সাম্বা বাহিনী।

ঠিক ৬’মিনিটের মাথায় দূর থেকে কামানের গোলার মতে শটে দলকে জয়সূচক গোল এনে দেন পাউলিনহো। ব্রাজিল দলের স্ট্রাইক লাইনের অন্যতম তারকা সদস্য হলেও এই বিশ্বকাপে এর আগে গোল পাননি তিনি।

আজকে বড় মঞ্চে জ্বলে উঠলেন তিনি।  ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে হেরেছিল নেইমারের ব্রাজিল দল। বড় লজ্জার ছিল সেই হার। এদিনের কলকাতার ম্যাচে ব্রাজিল যেন সেই হারের বদলা নিল।

ছোটরা বুঝিয়ে দিল দাদা-রা চিন্তা করো না। আমরা উঠে আসছি। এদিনের জয়ের ফলে সেমিফাইনালে দুরন্ত ফর্মে থাকা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে অন্যদিকে স্পেনের বিরুদ্ধে খেলবে মালি।