
গত ৭ এপ্রিল শুরু হয়েছে আইপিএলের ১১ তম আসর। এই আসর শুরু হতে না হতেই শুরু হয় এক ঝামেলা। ভারতের কাবেরি নদীর পানি বন্টন কে কেন্দ্র করে সমর্থকদের একাংশের উগ্রতার কারণে চেন্নাই থেকে আইপিলের বাকি সব ম্যাচ সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। ম্যাচ সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করার পর সেই সমর্থকদেরই আরেক অংশ হতাশা প্রকাশ করছে, আফসোস করছে নিজ দল নিজের মাঠে খেলতে পারবে না বলে। বাইরে মাঠে খেলতে হবে তাদের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার ভেসে চলছে চেন্নাইয়ের সমর্থকদের হতাশায়। ঘরের মাঠে প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে না পারার বেদনায় পুড়ছে চেন্নাইয়ের ক্রীড়াপ্রেমীরা।
পূজা সিসোদিয়া নামের একজন ক্রিকেট প্রেমী টুইটারে লিখেন, ‘আমার মনে হয় না ধোনিরা আর কখনো চেন্নাইয়ের মাঠে খেলবে। এটি প্রেমিকের সাথে বিচ্ছেদের চেয়েও করুণ।’ এর জবাবে প্রশান্ত নামের একজন লিখেন, ‘আইপিএল বন্ধ করে কি ফায়দা হলো? আইপিএল বন্ধ করায় কি কাবেরির পানি বন্টন সমাধান হয়ে যাবে? আহাম্মকি কাজকারবার।’
আদিতি রবীন্দ্রনাথ নামের একজন লিখেন, ‘সত্যিই চেন্নাইতে খেলা হবে না? খুবই মর্মাহত! চেন্নাই সুপার কিংস এবং চেন্নাইয়ের মাঠে খেলা একটি আবেগ, এর সমতুল্য নেই কিছু।’
ইয়াশ লাহোতি নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী নিজের দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি পুণের দর্শকদের জন্য শুভকামনাও জানান। তিনি লিখেন, ‘চেন্নাইতে ম্যাচ না হওয়া দুঃখজনক। তবে পুণের মানুষরা এখন নিশ্চয়ই খুব খুশি। হলুদ সমুদ্র এবার বসবে পুণেতে।’
উল্লেখ্য, কাবেরি নদীর পানি বন্টন কে কেন্দ্র করে তামিল-নাড়ু প্রদেশের জনগণের আন্দোলন এবং ক্ষোভের মুখে, চেন্নাইয়ের মাঠে আইপিএলের ম্যাচ আয়োজন করা একটি চ্যালেঞ্জই ছিল কর্তৃপক্ষের জন্য। সেই চ্যালেঞ্জকে স্বাগত জানিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলে চেন্নাই।
কিন্তু আন্দোলনকারীদের একাংশ স্টেডিয়ামে ঢুকে রবীন্দ্র জাদেজা-ফ্যাফ ডু প্লেসিসদের লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করলে নিরাপত্তা শঙ্কায় পড়ে যায় চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজি। পরে চেন্নাই রাজ্য পুলিশও যথাযথ নিরাপত্তা দিতে নিজেদের অপারগতার কথা প্রকাশ করলে বাকি ছয় ম্যাচ সরিয়ে নিতে বাধ্যই হয় চেন্নাই সুপার কিংস।
