
১৯৯২ সালের আজকের এই দিনে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো তে জন্মগ্রহণ করেন ব্রাজিলীয়ান স্টার ফিলিপে কৌটিনহোর। ছোটবেলা থেকে পেলে ও রোনালদিনহোর মত খেলোয়াড় হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। তার ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৮ সালে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টারনাজিওনালের মধ্য দিয়ে।
সেখান থেকে পাড়ি জমান লিভারপুলে এবং ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা ও কেটেছিল এই ইংলিশ ক্লাবের হয়ে। ইংলিশ ক্লাবটিতে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। লিভারপুলের হয়ে ১৫২ ম্যাচ খেলে ৪১ গোল করেন কৌটিনহো, করিয়েছেন ও অনেক গোল।
তার নজরকাড়া ড্রিবলিং, পাসিং দিয়ে মুগ্ধ করেছেন দর্শক দের। আর ডি বক্সের বাইরে থেকে লং রেঞ্জ শুট করে বাঘাবাঘা গোলরক্ষক দের পরাস্ত করতে তার জুড়ি মেলা ভার। তার খেলায় মুগ্ধ হয়ে লিভারপুল লিজেন্ড কেনি ডালগ্লিশ তাকে “লিটল ম্যাজিশিয়ান” উপাধি দেন।
লিভারপুলে থাকাকালীন এই লিটল ম্যাজিশিয়ানকে দলে ভেড়াতে দফায় দফায় ব্যর্থ হয় স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত এই বছরের জানুয়ারি তে ১৪২ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে দিয়ে দলে ভেড়াতে সফল হয় বার্সেলোনা। কৌটিনহো হয়ে পড়েন বিশ্বের ৩য় ব্যয়বহুল ফুটবলার। বার্সায় গিয়েও তিনি চিনিয়েছেন নিজের জাত। লা-লীগা ও কোপা দেল রে মিলে মাত্র ১৮ ম্যাচ খেলেই গোল করেছেন ৮ টি।
এই লিটল ম্যাজিশিয়ান ব্রাজিলের হয়ে খেলছেন অনূর্ধ্ব ১৫ এবং ১৭ বিশ্বকাপ ও। এরপর ২০১০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ডাক পান জাতীয় দলে। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ৩৬ ম্যাচে করেছেন ১০ গোল। খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান নি জাতীয় দলে, বেশিরভাগ সময় কেটেছে বেঞ্চে বসেই।
২০১৪ বিশ্বকাপে ও ২৩ সদস্যের স্কোয়াডে থেকেও খেলার সুযোগ হয় নি কৌটিনহোর। তিনি মুলত লেফট উইং অথবা এ্যাটাকিং মিডফিল্ডে খেলে অভ্যস্ত। মাঝে মধ্যে নেইমারের অনুপস্থিতিতে লেফট উইং এ খেলার সুযোগটি খুব ভালোভাবে কাজে লাগাতেন এই বার্সা স্টার।
আর সমস্যা হচ্ছে ব্রাজিল কোচ তিতে নিজের পছন্দের ফরমেশনে খেলাতে গিয়ে বাদ পড়ে যায় এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনটি। তাই দলের প্রয়োজনে এই এটাকিং মিডফিল্ডারের জায়গা হয় সেন্ট্রাল মিডে। সেখানেও নিজের সেরা খেলাটি দেখাতে ভুল করছেন না এই ব্রাজিলীয়ান স্টার।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে তার দারুণ পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হইয়েছিলেন কোচ তিতে। এতে করে রাশিয়া বিশ্বকাপে মুল একাদশে জায়গা নিশ্চিত হয় কৌটিনহোর। বলা যায়, নেইমারের পর এই বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলে যার অবদানটা বেশি প্রয়োজন তিনি হচ্ছেন ফিলিপে কৌটিনহো। নেইমারের পাশাপাশি এই ম্যাজিশিয়ান জ্বলে উঠতে পারলে হট ফেভারিট ব্রাজিল কে থামানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। তিনি তার জন্মদিনের সেরা উপহার হিসেবে পেতে চান রাশিয়া বিশ্বকাপ ।
