ক্রিকেট ফুটবল যেই খেলাই হক না কেন সেখানেই রেকর্ড তৈরি হয়। এবং সব রেকর্ড ভাঙাও হয়। তবে সব রেকর্ড কি সত্যিই ভেঙে দেওয়া সম্ভব? ক্রিকেটে এমন কিছু রেকর্ড আছে, যা হয়ত কেউ কোনও দিনই আর ভাঙ্গতে পারবে না। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তেমনই এগার রেকর্ড।

১) ব্র্যাডম্যানের গড় ৯৯.৯৪- কেউ কখনও স্বপ্নেও ভাবে না এই রেকর্ড ভাঙার কথা। গোড়ার দিকে আট, দশ, বিশটা টেস্ট খেলে হাতে গোনা দু একজনের থাকে তবে বেলা গড়ালে ডনের এই এভারেস্টসম ব্যাটিং গড় অক্ষতই থেকে যায়।

২) মুরলির উইকেট- টেস্টে ৮০০টি উইকেট শিকার করে, ওয়ানডেতে আছে ৫৩৪টি উইকেট।  মোট ১৩৩৪টি উইকেট। ব্যস, সংখ্যাটাই যথেষ্ট। কতটা পথ পাড়ী দিলে মুরলির এই রেকর্ড ভাঙা যাবে সেটা মাপার যন্ত্রই এখনও বের হয়নি।

৩) শচীন টেন্ডুলকরের ১০০টা আন্তর্জাতিক শতরান- শতরানের শতরান। বলতে শুনেছি, কোহলি বিরাট এই রেকর্ডটা ভেঙে দেবেন। কিন্তু দিল্লি এখন অনেক দূরে। শচীনের রেকর্ড অক্ষত থাকবে এটা এখনও বলছে পরিসংখ্যান।

৪) ৫২ বছর বয়েসে এসেও উইলফ্রেড রোডসের টেস্ট ক্রিকেট খেলা- এখন ক্রিকেট ফিটনেস ভিত্তিক খেলা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ৩২,৩৪ বছরে এলেই অবসরের ঘণ্টা শোনা যায়। আর ইনি, উইলফ্রেড রোডস ৫২ বছর বয়সে টেস্ট খেলেন। ৩০ বছর ধরে তিনি ক্রিকেট খেলেন।

৫) গ্রাহাম গুচের এক টেস্টে মোট ৪৫৬ রান- একটা টেস্ট একজন ব্যাটসম্যান করলেন ৪৫৬ রান। হ্যাঁ, ভারতের বিরুদ্ধে লর্ডসে ১৯৯০ সালে গ্রাহাম গুচ এমন কাণ্ডই ঘটান। গুচ প্রথম ইনিংসে করেন ৩৩৩ রান, দ্বিতীয়টাতে করবেন ১২৩ রান। ইংল্যান্ড এই টেস্টে জেতে ২৪৭ রানে।

৬) স্যার জ্যাক হবসের ১৯৯টি শতরান- হ্যা, ঠিক পড়ছেন। ১৯৯টি শতরান। মানে সেঞ্চুরির ডবল সেঞ্চুরি থেকে একটা কম। এই ১৯৯টি-র মধ্যে ১৮টা টেস্ট শতরান আছে স্যার জন বেরি জ্যাক হবসের। ১৯৯ যেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলে `ভাঙতে পারলে ভাঙো`।

৭) দ্রাবিড়ের ২১০ ক্যাচ- ১৬৪টা টেস্টে দ্রাবিড় ধরেছেন ২১০টা ক্যাচ। টেস্টের নিরাপদতম হাতের গড় ০.৬৯৭। কোনও দিন দেশের হয়ে টেস্টে উইকেটকিপিং না করেও এই রেকর্ড রাখা দ্রাবিড়কে ভাঙা যাবে না এটা বিশ্বাস করতে ভাল লাগে।

৮) ক্রিকেটার হিসেবে পন্টিংয়ের ১০৮টা টেস্ট জয়- দেশের হয়ে ১০০টা টেস্ট খেলাই যখন যে কোনও ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হয়, সেখানে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং অধিনায়ক হিসেবে ১০৮টা টেস্ট জয়ের স্বাদ নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার সোনালি প্রজন্মে খেলা পন্টিংয়ের এই রেকর্ড কেউ কোনও দিন ভাঙতে পারলে সেটাই হবে আশ্চর্যের।

৯) অধিনায়ক গ্রেম স্মিথের ১০৯টা টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া- মাত্র ৮টা টেস্ট খেলার পর দেশের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। বাঁহাতি ওপেনার স্মিথ এরপর দেশকে টানা ১০৮টা টেস্টে নেতৃত্ব দেন। আর একটি টেস্ট আইসিসি একাদশের নেতৃত্ব দেন। স্মিথ খেলেছেন ১১৭টা টেস্ট, নেতৃত্ব দিয়েছেন ১০৯টাতে। এই বিরল রেকর্ড ভাঙা খুব কঠিন।

১০) জিম লেকারের এক টেস্টে ১৯টা উইকেট- একটা টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০টা উইকেট নেওয়া যায়। ১৯৫৬ সালে ম্যানচেস্টার টেস্টে অসিদের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের লেকার নিয়েছিলেন ১৯টা উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৯টা, দ্বিতীয় ইনিংসে দশে দশ। দুটো মিলিয়ে ১৯। আজ পযর্ন্ত কেউ পারেননি, হয়তো কেউ পারবেনও না।

১১) বাংলাদেশের আবুল হোসেন রাজু এক টেষ্টে শতরান ও হেট্রিক। দশ নাম্বার উইকেটে নেমে এই রেকর্ড দখল করেন। আর কে আছে যে কিনা দশ নাম্বারে নেমে এই রেকর্ড ভাঙ্গবে।