
ভারত ববনাম শ্রীলংকার খেলা রবিবারের (২৭ আগস্ট) ক্যান্ডি আর ১৯৯৬ সালের ইডেন গার্ডেন্সের মধ্যে অনেক মিল সেই সঙ্গে আবার অমিলও অনেক। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দর্শক অসন্তোষের উগ্র মূর্তি দেখেছিল ইডেন। রবিবারের ক্যান্ডিও তাই।
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইডেনে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার রান তাড়া করতে নেমে একটা সময়ে ভারত একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা দেখে স্থির থাকতে পারেননি ইডেনে উপস্থিত দর্শকরা। তারা মাঠের ভিতর বোতল ছুড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামতে হয় পুলিশকে।
ঠিক একই রকম পরিস্থিতি দেখা যায় রবিবারের ভারত-শ্রীলঙ্কা তৃতীয় একদিনের ম্যাচে। সেবার অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। রবিবার অবশ্য জিতল ভারত।
লক্ষ্যমাত্রা থেকে ভারত যখন মাত্র আট রান দূরে ঠিক সেই সময়ে মাঠের ভিতর বোতল ছুড়তে শুরু করে দেন শ্রীলঙ্কার সমর্থকরা। তাতেই বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বের করে দেয়া হয় দর্শকদের।
প্রথমে ভারতকে জয়ী ঘোষণা করলেও পরে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ফের খেলা শুরু হয়। ৩৫ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা।
সেই সময়ে ব্যাট করছিলেন রোহিত শর্মা (১২২) এবং এমএস ধোনি (৬১)। দু’জন ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে নেন। শ্রীলঙ্কার এই ব্যর্থতা সহ্য করতে পারেননি দ্বীপরাষ্ট্রের ভক্তরা।
ক্ষুব্ধ দর্শকদের শান্ত করতে নেমে পড়েন নিরাপত্তারক্ষীরা। খেলা হবে কি হবে না, তা নিয়ে আম্পায়াররা যখন উদ্বিগ্ন, ঠিক সেই সময়ে ধোনি ভাবলেশহীন। তিনি তখন মাঠে ঘুমোচ্ছেন। বাইরের ঘটনা তাকে ছুঁয়েও দেখছে না।

সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। ধোনি অবশ্য মাঠের ভিতরে ঘুমিয়ে পড়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। মাহি নিশ্চুপ থাকলেও, তার ছবি প্রতীকী হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ধোনির এই ঘুম নিয়ে কম হাসাহাসি হয়নি।
