আমরা সকলেই জানি ধোনি ও কোহেলির বন্ধুতের কথা। তারা খুব ভালো বন্ধু হয়েই জাতীয় দলে খেলে চলে ছেন। ভারতীয় জাতীয় দলের অধিনায়ক হওইয়ার পর থেকে ভালোই সমাঝোতা চলেছিল ধোনি এবং কোহলির মাঝে। কোহলি কিছু হলেও সাহায্য পেতেন তার সিনিয়র ক্রিকেটার ধোনির কাছে। এখন মনে হয় সেই সমাঝোতারেই ফাটল ধরল।

কোহলির ভারত জাতীয় দলের অন্যতম ম্যাচ উইনার যিনি হার্দিক পাণ্ডের সৌজন্যেই কোহলির রণনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারও হার্দিক পাণ্ডেকে চার নম্বরে নামানো হয়েছিল। রকেট গতিতে শুরু করলেও হার্দিক পাণ্ডের যিনি ‘প্রিয় খাদ্য’ সেই অ্যাডাম জাম্পারের বলেই লং অফে ক্যাচতুলে বিদায় নেন তিনি। আর হার্দিক পাণ্ডেকে নিয়মিত চার নম্বরে খেলানো ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন অধিনায়ক কোহলি।

প্রশ্ন হলো , হার্দিক পাণ্ডিয়াকে যদি নিয়মিত চার নম্বরে খেলানো হয়, তাহলে ধোনি ব্যাটিং অর্ডার ডিমোশনের শিকার। ধোনির পরিবর্তিত ব্যাটিং অর্ডার হয়ে দাঁড়াচ্ছে সাত নম্বর। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের আপত্তি রয়েছে এখানেই। ধোনি বরাবরই ক্রিজে কিছুটা থিতু হয়ে থাকে তারপর রণংদেহী মূর্তি নেন। সাত নম্বরে নামার অর্থ কী হতে পারে, তা দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছে বেঙ্গালুরু ম্যাচই। ক্রিজে নেমেই পরিস্থিতির দাবী মেনে ব্যাট চালাতে গিয়ে আউট হন তিনি।

উল্টো দিকে পরিস্থিতি যদি এমন হত, নির্দিষ্ট ব্যাটিং অর্ডার মেনে ধোনি নামতেন ছ’নম্বরে, তাহলে ক্রিজে কিছুটা থিতু হয়েই ফিনিশিং টাচ দিতে পারতেন তিনি। হার্দিক পাণ্ডে সাত নম্বরে নেমে শেষদিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করার ফ্রি লাইসেন্সও পেয়ে যেতেন। পাশাপাশি কেদার যাদবের ব্যাটিংয়ের কৌশল নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। ৬৯ বলে ৬৭ রান করলেও পরিস্থিতির বিচার মেনে ব্যাটিং করেননি মধ্যপ্রদেশের ব্যাটসম্যান। বলা হচ্ছে এমনই।

অনেকেই বলছেন, কোহলির ছোট এই ট্যাকটিক্সের ভুলেই হার হয়েছে। ম্যাচের পরেই যেমন হর্ষ ভোগলে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, ‘‘ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন ভাল বিষয়। কিন্তু সেটা করতে হলে ধোনিকে ভুল জায়গায় ব্যাট করতে নামতে হচ্ছে। এই বিষয়টা ভেবে দেখতে হবে। ’’ ধোনিকে ব্যাটিং অর্ডারে নামিয়ে দিয়ে কোহলি ফের ঠাণ্ডা যুদ্ধ শুরু করেছেন নিজের পূর্বসূরির সঙ্গে। ধোনি-কোহলি প্রকাশ্যে যতই স্বাভাবিক থাকুন না কেন, ফাঁকগুলো কিন্তু নজরে পড়ছেই। অবষয এই নিয়ে মন্তব্য করতে রাজী হনন তারা দুইজনেই।