
২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল ইংল্যান্ড। ১০ বছর টিকে থাকা শ্রীলঙ্কার করা ৪৪৩ রানের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল ইংলেন্ড। ২ বছর পার হতেই নিজেদের গড়া রেকর্ড (৪৪৪/৩) নিজেরাই ভাঙলো ইংল্যান্ড। ঐ নটিংহামের ট্রেন্টব্রিজেই অজি বোলারদের তুলোধোনা করে স্কোরবোর্ডে ৪৮১ রান তুলে ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে হেলস-বেয়ারস্টো-মরগানরা।
প্রথমে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অজি দলপতি টিম পেইন। সিদ্ধান্ত যে সঠিক নেননি তা বুঝিয়ে দেয় দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। ১৯ ওভার ৩ বল একসঙ্গে উইকেটে থেকে দুজনে তোলেন ১৫৯ রান! ৬১ বলে ৭ টি চার ও ৪ টি ছয়ে ৮২ রান করে রান আউট হন জেসন রয়।
জেসন রয়ের সাজঘরে ফিরে যাবার ঘটনায় বিচলিত হননি জনি বেয়ারস্টো। নিজের দুর্দান্ত ফর্ম বজায় রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। শেষ ৬ ইনিংসে এটি বেয়ারস্টোর ৪র্থ সেঞ্চুরি! ৯২ বলে ১৫ টি চার ও ৫ টি ছয়ে ১৩৯ রান করে থামেন বেয়ারস্টো। বেয়ারস্টো আউট হলে ভাঙে বেয়ারস্টো-হেলসের ১৫১ রানের জুটি।
বেয়ারস্টো ফিরে যাবার পর উইকেটে আসা জস বাটলার থাকতে পারেননি বেশীক্ষণ ১১ (১২)। তবে এরপর উইকেটে এসেই রানের গতি আরো বাড়িয়ে দেন এউইন মরগান। থেমে থাকেননি হেলসও, ৬২ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ইংল্যান্ড ৩৫০ রান পূর্ণ করে ফেলে ৩৯ ওভার ১ বলের মাথায়। বিধ্বংসী মরগান নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন ২১ বলে, যা কিনা ইংল্যান্ডের কোন ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ওয়ানডে ফিফটি। এই ম্যাচেই ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের মালিক হন মরগান।
রিচার্ডসনের করা ৪৮ তম ওভারের ২য় ও ৩য় বলে ফিরে যান অ্যালেক্স হেলস ও এউইন মরগান। ৯২ বলে ১৬ টি চার ও ৫ টি ছয়ে ১৪৭ রান করেন হেলস, ৩০ বলে ৩ টি চার ও ৬ টি ছয়ে ৬৭ রান করেন মরগান।
৪৬ ওভারে ৪৫০ পূর্ণ করা ইংল্যান্ড থামে ৬ উইকেটে ৪৮১ রান করে। অজিদের হয়ে ৯২ রান খরচে ৩ উইকেট নেন জাই রিচার্ডসন। ১০০ রান খরচ করে উইকেট শূন্য থাকেন অ্যান্ড্রু টাই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ৪৮১/৬, জেসন রয় ৮২, জনি বেয়ারস্টো ১৩৯, অ্যালেক্স হেলস ১৪৭, এউইন মরগান ৬৭, জাই রিচার্ডসন ৯২/৩, অ্যাগার ৭০/১।
