
রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে ইরান। ফিফা র্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ৩৭ ও মরক্কোর ৪১ তাদের অবস্থান বেশ কাছাকাছি। ফর্ম, প্রস্তুতি বা শক্তিতেও তেমন কোনো তফাত নেই। রুশ ক্লাব রুবিন কাজানে খেলা তরুণ ফরোয়ার্ড সারদার আজমুন এবারের আসরে ইরানের স্বপ্নসারথি। তাকে সঙ্গও দেবেন রেজা গুচান্নেচাদ।
একইভাবে মরক্কো দলেও জুভেন্টাসের মেধি বেনাতিয়া ও আয়াক্সের হাকিম জিয়েখ ছাড়া বিশ্বমানের কোনো খেলোয়াড় নেই।
তবে দু’দলেই রয়েছেন বড় মাপের কোচ। ইরানের পর্তুগিজ কোচ কার্লোস কুইরোজ বিশ্ব ফুটবলের চেনা মুখ। মরক্কোর ফরাসি কোচ হার্ডি রেনার্ডের ক্যারিয়ারও ঝলমলে। ডাগআউটে তাদের মস্তিষ্কের লড়াই গড়ে দিতে পারে ব্যবধান।
রেনার্ড সরাসরি জয়ের কথা না বললেও কুইরোজ অকপটে বলে দিয়েছেন, ‘এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে প্রথম ম্যাচটা অবশ্যই জিততে হবে। মরক্কোকে চমকে দেয়ার মতো রসদ আমাদের আছে। তাদের দলটাকে খুব ভালোভাবে জানি আমরা। কিন্তু আমার ধারণা, আমাদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানেন না তারা।’
বিশ্বকাপে নামার আগে দলের বুট বিড়ম্বনাকে অনুপ্রেরণার মশাল বানাতে চাই কুইরোজ, ‘এটা আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়েছে।’
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধের কারণ দেখিয়ে শেষ মুহূর্তে ইরানের বিশ্বকাপ দলকে বুট সরবরাহ করতে অপারগতা জানিয়েছে মার্কিন ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকি। ফলে রাশিয়ার দোকান থেকে কেনা সাধারণ বুট ও ক্লাব সতীর্থদের কাছ থেকে ধার করা পুরনো বুট পায়ে দিয়েই বিশ্বকাপে নামতে হচ্ছে আজমুনদের।
