
৩২ বছর যাবত বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। ভাগ্য বার বার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদের ওপর থেকে। ২০১৪ বিশ্বকাপে ফাইনালে ঊঠেছিল মেসির আর্জেন্টিনা। কিন্তু জার্মানীর সাথে জেতা হয়নি বিশ্বকাপ। তাই রাশিয়া বিশ্বকাপে যেকোনো মুল্যেই শিরোপা জিততে চায় আর্জেন্টিনা। আজ বিশ্বকাপের নতুন দল আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের মিশন।
বাছাই পর্ব থেকে বাদ পরতে পরতে শেষ মুহুর্তে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে মেসির হ্যাটট্রিকে ইকুয়েডরকে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। কিন্তু এরপরেই যেন আবার ছন্ন ছাড়া হয় তাঁরা। প্রীতি ম্যাচে ইতালিকে হারালেও, স্পেনের বিপক্ষে ৬-১ গোলে পতাজিত হয় মেসিবাহিনী। যদিও সেই ম্যাচে মেসি মাঠে নামেনি মেসি। তবে আর্জেন্টিনার দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তার উপর সেরা গোলরক্ষক রোমেরো এবং লানজিনি ছিটকে পড়ে ইনজুরির কারণে। তাই এক কথায় প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে টালমাটাল হোর্হো সাম্পাওলির আর্জেন্টিনা। পুরানো ফরমেশন বদলে ৪-২-৩-১ ফরমেশনকে এখন বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন আর্জেন্টাইন কোচ। তবে মেসিদের ইতিহাস ভরসা দিচ্ছে- ২৮ বছর ধরে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হারেনি তাঁরা।
অন্যদিকে, মাত্র সাড়ে তিন লাখ জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ডে হাঠাৎ করেই ফুটবলের উত্থান হয়। ২০১৪ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব দুর্দান্ত খেলে তাঁরা। এরপর ২০১৬ ইউরোতে গ্রুপ পর্বে রোনালদোর পর্তুগালকে টপকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে ইংল্যান্ড হারিয়ে দেয় তাঁরা। আর ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও ক্রোয়েশিয়াকে টপকে গ্রুপ সেরা হয় আইসরা। এখন আইসদের লক্ষ্য মেসিদের বধ করা। দলেও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। আর আইসদের কোচ হেইমির হলগ্রিমসন তাঁর দলকে ৪-৪-২ ফরমেশনে খেলাতে পছন্দ করে। যা মূলত অ্যাটাকিং গেম প্লেয়িং।
তাই আজ সয়াব্র মনে একটাই প্রশ্ন- আজ কি পারবে আইসরা, নাকি আইসদের বরফের দূর্গ মেসির আগুনের গোলার মত শটের কাছে নিমিষেই গলে যাবে?
