রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের সাথে ড্র এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হয় ব্রাজিল। কিন্তু পরের ম্যাচেই উল্টে যায় সব কিছু। নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে পরাজিত করে বিশ্বকাপের স্বপ্ন টিকে থাকে সাদা-আকাশিদের।

তবে দ্বিতিয় রাউন্ডে ভেঙে যেতে পারে মেসিদের সেই স্বপ্ন। কারণ কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে মেসিদের লড়তে হবে ফ্রান্সের বিপক্ষে।

কেননা এবারের বিশ্বকাপ আসরে অন্যতম সেরা দল এই ফ্রান্স। দলটিতে আছে এমবাপ্পে, জিরুদ, গ্রিজম্যান, উসমান ডেম্বেলে, পল পগবা, স্যামুয়েল উমতিতির মতো তারকা। হার্নান ক্রেসপোর মতো ফুটবলবোদ্ধা মনে করছেন, এই ফরাসি দলটির সঙ্গে পেরে উঠবে না আর্জেন্টিনা।

এই কথা গুলো শুনে আর্জেন্টিনা–সমর্থকদের কারো যদি মন ভেঙ্গে যায় তাহলে এই তথ্য মুখে হাস এনে দেবে। বিশ্বকাপে ফ্রান্সের মুখোমুখি হওয়া মানেই যে ফাইনাল নিশ্চিত আর্জেন্টিনার। এমনকি শিরোপাও আসতে পারে ঘরে!

কে কি বললো, সেই হিসাব পরেও করা যাবে। দুই দলের পরিসংখ্যান বলছে, ফ্রান্সকে পরাজিত করতে কষ্ট হবে না আর্জেন্টিনার। কারণ এর আগে বিশ্বকাপে তাদের দেখা হয়েছিল দুবার। ১৯৩০ ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপে। এই দুটি বিশ্বকাপেই ফাইনালে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা।

এর মধ্যে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছিলো আর্জেন্টিনা। সেটিই ছিলো আর্জেন্টিনার প্রথম শিরোপা। অবশ্য এর আগে ফ্রান্সের সঙ্গে বিশ্বকাপে আগের দুবারই গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা। এবারই প্রথম দেখা হচ্ছে নকআউট পর্বে।

শুধু মাত্র বিশ্বকাপেই নয়; প্রীতি ম্যাচের মুখোমুখি পরিসংখ্যানে আর্জেন্টিনা অনেক এগিয়ে আছে ফ্রান্সের থেকে। নয়টি প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা হেরেছে মাত্র দুবার। চারটিতে জিতেছে। বাকি তিন ম্যাচ ড্র।

আর্জেন্টিনা আরেকটি তথ্যে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেতে পারে। ১৯৮৬ সালের পর কখনো ফ্রান্সের কাছে তারা হারেইনি। অবশ্য এরপর দুই দলের দেখাই হয়েছে দুবার। সর্বশেষ দেখা ২০০৯ সালে। গত ৯ বছরে দুই দলের কোনো ম্যাচ হয়নি।

এই ফ্রান্সও এখন অন্য এক দল। তারকা আর প্রতিভার কমতি নেই। আর আর্জেন্টিনা উঠেছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তবে এ-ও সত্যি, গত ম্যাচটাই হয়তো মানসিকভাবে বেশি এগিয়ে রাখবে আর্জেন্টিনাকে। যদিও শক্তি ও সাম্প্রতিক ফর্মের বিবেচনায় সবাই ফ্রান্সকেই মানছে ফেবারিট।

আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করুন আপডেট পেতে : FIFA World Cup 2018