
ব্রাজিলীয়ান সুপার স্টার নেইমার বিশ্বকাপ জিতার জন্য রাশিয়া এসেছেন। মাঠে তাঁকে আটকানোর জন্য ক্রমাগত ট্যাকল করার কৌশল করেছে প্রতিপক্ষ দলগুলো। যে কারণে ৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৩ বার ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। কিন্তু তার পরও ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ডের বিপক্ষে ‘ডাইভ’ দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। সমালোচনাও মুখেও পরতে হয়েছে তাকে। প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়েরা নাকি একটু বাধা দিলেই নেইমার কাটা কলাগাছের মতো পরে যাচ্ছেন!
তা, রাশিয়ার মাঠে ঠিক কতক্ষণ পরে ছিলেন নেইমার? সেই হিসেবও করে রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪ ম্যাচে নেইমার মাঠে পড়েছিলেন ১৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ড। অর্থাৎ একটি ম্যাচের ছয় ভাগের একভাগ। এর মধ্যে শুধু মেক্সিকোর বিপক্ষেই সাড়ে পাঁচ মিনিট সময় মাঠে পড়েছিলেন।
নেইমার কিন্তু পুরো ফিট হয়ে রাশিয়ায় আসতে পারেননি। গত ফেব্রুয়ারিতে পায়ের পাতায় চোট পেয়েছিলেন। তার ওপর বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই সুইসরা তাঁকে যেভাবে ট্যাকল করেছে সেটি নেইমারের ভীতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই ম্যাচে তাকে দশবার ফাউল করা হয় যা কিনা ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর থেকে এই টুর্নামেন্টের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ।
বিশ্বকাপে অনেক দূর যেতে হলে সুস্থ থেকে নিজের ফর্ম ধরে রাখাটা প্রাথমিক শর্ত। চোট থেকে ফিরে বিশ্বকাপে এসে নিজের সেরাটা দেওয়া চ্যালেঞ্জই ছিল নেইমারের জন্য। ধারণা করা হচ্ছে, ডিফেন্ডারের ট্যাকল থেকে নিজেকে রক্ষার জন্যই এমন ‘ডাইভ’ দিচ্ছেন নেইমার। আর রেফারি যখন হলুদ কার্ডে অনীহা দেখান, একটু বেশি চোট পাওয়ার ভান করা ছাড়া উপায়ও বা কি!
