
এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ১৪টি। ভেঙেছিলেন ২০১৩ সালে সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের হয়ে এক ইনিংসে হাকানো ১২টি ছক্কা মারার নিজের রেকর্ড। আজ আবারও নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন গেইল। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে গ্র্যান্ড ফাইনাল ম্যাচে হাঁকালেন ১৮টি ছক্কা! শুধু বিপিএল রেকর্ড নয়; ভেঙে দিয়েছেন নিজের গড়া বিশ্বরেকর্ড।
আইপিএলে অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংসটি সাজিয়ে ছিলেন ১৭টি ছক্কা সাহায্যে। সেটি এতদিন বিশ্বরেকর্ড হয়ে ছিল। আজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়লেন। এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ৫১ বলে অপরাজিত ১২৬ রান করেছিলেন। আজ ৬৯ বলে ১৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ঢাকার বোলারদের নাকানি চুবানি খাইয়ে ছাড়লেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে এটি গেইলের ২০তম সেঞ্চুরি। ৭টির বেশি সেঞ্চুরি নেই আর কারও। বিপিএলে এটি তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। কেবল রানের সেঞ্চুরি নয়; গেইল আজ সেঞ্চুরি করেছেন ছক্কা মেরেও। বিপিএলে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছক্কার সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ২৬ ইনিংস খেলে গেইল ছক্কা মেরেছেন ১০৭ টি। ৫৪ ইনিংসে ৪৭ ছক্কা মেরে দ্বিতীয় স্থানে আছেন সাব্বির রহমান।
এই নিয়ে এক ইনিংসে ১৫ বার ১০টি বা তার বেশি ছক্কা মারলেন গেইল। কমপক্ষ ১০টি ছক্কা ২ বারের বেশি আর কোনো ব্যাটসম্যান মারতে পারেননি। বিপিএলের আসরে ফাইনাল ম্যাচে এই প্রথম সেঞ্চুরি করলেন কোনো ব্যাটসম্যান।
বিপিএলে সব মিলিয়ে একাই ৫টি সেঞ্চুরি করলেন গেইল। একাধিক সেঞ্চুরি নেই আর কারও। এই ইনিংসে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ক্যারিবীয় দানব। তার ধারেকাছে কেউ নেই।
আজকের বিধ্বংসী ইনিংসের মাধ্যমেই তিনি ২৬ ইনিংসে বিপিএলে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এটি বিপিএলে সবচেয়ে কম ইনিংসে হাজার রানের রেকর্ড। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ৯টি ফাইনাল খেলে গেইল করতে পেরেছিলেন মাত্র দুটি ফিফটি।
দশম ফাইনালে করলেন প্রথম সেঞ্চুরি। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ২০১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন গেইল। যে কোনো উইকেটেই বিপিএল এই প্রথম দেখল দুইশ রানের জুটি। আগের রেকর্ড ছিল ১৯৭ রানের। বিপিএলের ২০১৩ আসরে খুলনার দুই ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস ও লু ভিনসেন্ট এই জুটি গড়েছিলেন।
