
ফিটনেস পরিক্ষায় পাশ করতে না পারায় শ্রীলঙ্কার বিপিক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে যান পাকিস্তানি ওপেনার আজহার আলী। তার জায়গায় দলে ডাকা পায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হকের ভাতিজা ইমাম উল হককে। শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেরর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাঁহাতি এই ওপেনারের।
অভিষেক ম্যাচেই ঝলক দেখায় ২১ বছর বয়সী ইমাম। দুরধান্ত এক সেঞ্চুরি দিয়ে অভিষেক ম্যাচটাকে স্মরণীয় করে রাখেন বা হাতি তরুণ এই ব্যাটসম্যান। ১২৫ বল খেলে পাঁচ চার ও দুই ছয়ে ১০০ রানের ইনিংস খেলেন। অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গনে হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই আজাব চলছে ফোনের উপর। ভক্ত ও ক্রিকেটপ্রেমীদের ফোনকল ও ক্ষুদেবার্তায় ভাসছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এর মধ্যে মেয়ে ভক্তের সংখ্যাটাও কম নয়।
এই ফোনকল নিয়ে তরুণ ওপেনার বলেন, ‘সেঞ্চুরি করার পর থেকে ফোনকল আর মেসেজে ভেসে যাচ্ছে আমার মোবাইল ফোন। কম করে হলেও আমি প্রায় ৪০০ মেয়ে ভক্তের কল রিসিভ করেছি। তারা আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত আমি মোবাইল আর ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি।’
অভিষেক ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঝলক দেখাতে পারে নি এই তরুন। দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র দুই রানে আউট হন ইমাম। নিজের তৃতীয় ম্যাচে আবারও বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই ম্যাচে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল মাত্র ১০৪ রান। ফলে ৪৫ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন ইমাম। এখন পর্যন্ত তিন ওয়ানডেতে ৭৩.৫০ গড়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪৭ রান।
ইমাম উল হক আলোচনায় আসেন চলতি বছর মার্চে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ইমার্জিং এশিয়া কাপ দিয়ে। পাকিস্তানের হয়ে খেলতে এসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৫ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে খেলেন ১২০ রানের ইনিংস। ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করে স্পটলাইট নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারবাহিক পারফর্ম করায় জাতীয় দলে ডাক পেতেও খুব বেশি সময় লাগেনি তার।
