‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’- ফুটবল বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন প্রতিটি দেশের আছে। বিশ্বকাপে জয়গা পেতে কত পরিকল্পনা থাকে একেকটা দেশের। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় ফুটবলের যেই অগ্রগতি তাতে বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছে আপাতত স্বপ্নের মত! খেলা তো বহুদূর। অথচ স্বপ্নের বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েও কিনা খেলেনি ভারত। ভাবা যায়! পায়ের জাদু দেখানোর সুযোগ পেয়েও পায়ে ঠেলে দিলো স্বপ্নের বিশ্বকাপ। কিন্তু কেন বিশ্বকাপ খেলেনি ভারত? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকের কাছেই এখনও অজানা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপের পর ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপের আসর অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। পরে ১৯৫০ সালে মাত্র ১৬ টি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ব্রাজিল বিশ্বকাপ। স্বাগতিক দেশ হিসেবে ব্রাজিল এবং ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালি ছাড়াও ৭টি দেশ আসে ইউরোপ থেকে। ৬টি দেশ আসে আমেরিকা মহাদেশ থেকে।

বাকি জায়গা বরাদ্দ ছিল এশিয়ার দেশগুলোর জন্য। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার জন্য এশিয়ার চারটি দেশ ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার ও ভারতকে আমন্ত্রণ জানায় ফিফা। তবে চার দেশের তিন দেশ ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও বার্মা আগে থেকেই ফিফাকে খেলবেনা বলে জানিয়ে দিলে সুযোগ পেরে যায় ভারত। ভারতের বিশ্বকাপে ডাক পাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল ঐ সময়টা ভারতের ফুটবলের স্বর্ণযুগ ছিল।

১৯৪৮ সাল অলিম্পিক গেমসে ফ্রান্সের বিপক্ষে লড়াই করে হেরে গেলেও নিজেদের শক্তি সম্বন্ধে জানান দেয় বিশ্ব ফুটবলে। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে খেলা হয়নি বলেই ব্যাপারটা ভারতের জন্য দুঃখজনকই বটে। ভারত কেন বিশ্বকাপে গেলোনা এই নিয়ে অনেক মিথ্যা কথা প্রচলিত আছে জনমনে। যেমনটা বলা হয় ভারতীয় খেলোয়াড়রা বুট পরে খেলতে অভ্যস্থ ছিলোনা বলেই খেলতে যায়নি। কেউ বলে তারা খালি পায়ে খেলতে চেয়েছিল বলে ফিফা তাদের না করে দিয়েছে। আবার কেউ বা বলে বিমান ভাড়া ছিলোনা বলেই বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের নাম তুলে নিয়েছিল ভারত।

এমন কিছু শোনা গেলেও ভারত দলের সে সময়ের অধিনায়ক শৈলেন মান্না ভারতী একটি পত্রিকার সাক্ষাতকারে বলেন,  আমরা তখন প্রস্তুত ছিলামনা বিশ্বকাপে খেলার জন্য। আমাদের সেভাবে বলাও হয়নি। যদি জানতাম তবে নিজেরাই যেভাবে পারতাম প্রস্তুত হয়ে নিতাম বিশ্বকাপে খেলার জন্য।