
টেস্ট সিরিজে বাজে ভাবে পরাজিত হবার পর আত্নবিশ্বাস ছিলো একদম তলানিতে। কিন্তু মাশরাফি হাতের ছোয়াতে দলের আত্নবিশ্বাস তুঙ্গে৷ সবাই মিলে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-১ সিরিজ জয় করে নিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে পরাজিত না হলে ঘড়ের মাঠেই তাদের হোয়াইটওয়াশই করত বাংলাদেশ।
এই সিরিজে ৩ ম্যাচে ২৮৭ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছেন তামিম। কিন্তু পর্দার আড়ালে সিরিজ সেরা মাশরাফি! দলের প্রয়োজনে কতকিছুই না করেছেন তিনি? বোলিং, ব্যাটিং সাতবার ছুরি চালানো ওই পা নিয়ে দুর্দান্ত ফিল্ডিং৷
গতকালকের ম্যাচে ৪০ ওভার শেষে দলের রান যখন ২০৫ তখনি আউট হয়ে ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল৷ তখন সবাইকে অবাক করে সাব্বির-মোসাদ্দেকে না নামিয়ে নিজেই মাঠে নেমে কি চমৎকার খেলায়াইনা তিনি দেখালেন। মাত্র ২৫ বলে ৩৬ রানের এক দারুণ ইনিংস খেলেন। গতকাল বাংলাদেশের দলীয় স্কোর ৩০১ হওয়ার পেছনে তামিম ও মাহমুদউল্লাহর যতটুকু ভুমিকা রয়েছে মাশরাফির ভুমিকাও তার চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
এরপর ফিল্ডিংয়ে নেমে বল হাতে ভয়ঙ্কর লুইসের উইকেট সাথে ফিফটি হাঁকানো সাই হোপের উইকেট। কাইরেন পাওয়েলের দুর্দান্ত রান আউট৷ শুধু তাই নয়, মোস্তাফিজকে যখন একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন দানব রোভমান পাওয়েল তখন পাওয়েলের সাথে কি জানি আলাপ করে মোস্তাফিজকে চাঙ্গা করার জন্য মাশরাফি বললেন, ‘মোস্তাফিজ তরে নাকি ২০ নিব এই ওভারে দেখায় দে’। এর পর নিজের শেষ দুই ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করলেন মোস্তাফিজ। বাংলাদেশ পেল সিরিজ জয়ের স্বাদ।
গতকালকের ম্যাচই নয় প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটিও দেখেন৷ এর আগে প্রায় ৬ মাসেরও বেশি সময় কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি। প্রায় ৩ মাসেরও বেশি সময় খেলেননি কোন ঘরোয়া ক্রিকেটও সেই সাথে খেলেনি একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটিও। বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন অসুস্থ স্ত্রীকে। তারপরেও এইসব প্রতিকূলতা কাটিয়ে বল হাতে কি দুর্দান্ত পারফরমেন্সটাইনা করলেন প্রথম ম্যাচে৷ ১০ ওভারে মাত্র ৩৭ রানের বিনিময় ৪টি উইকেট। রাখলেন দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই কাগজে কলমে সিরিজ সেরা তামিম হলেও পর্দার আড়ালে থাকা সিরিজ সেরা মাশরাফিই।
