অভিষেকের পর থেকে গতি,সুইংয়ের কারনে ছিলেন সবার নজরে। শুরু থেকেই বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্ত ক্যারিয়ারের অল্প সময়েই পড়েন ইঞ্জুরির কবলে। সেই ইঞ্জুরি যেন তার নিত্য সঙ্গী। পায়ের সমস্যার কারনে আগের মতো গতি দিতে না পারলেও লাইন-লেন্থ, সুইং সবই যেন সেই তরুন মাশরাফির মতো।

এই উইন্ডিজ সিরিজেও ছিলেন ওয়ানডেতে সর্বাধিক উইকেট শিকারি। তিন ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৭ উইকেট! আর প্রতি ম্যাচেই বোলিং ইকনোমিটা চোখে পড়ার মতো।

বোলিংয়ের পাশাপাশি শুরু থেকেই ব্যাটও ভালোই চালাতে পারতেন।  দ্রুত রান তোলায় অভ্যস্ত ম্যাশ। উইন্ডিজের সাথে তৃতীয় ম্যাচেও দলের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতগতির ব্যাটিং করেন ম্যাশ। সেই সাথে অল্প বলেই ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যেখানে সাব্বির-সৈকতরা দ্বিতীয় ম্যাচে হার্ডহিটিং ব্যাটিং করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

এখনো বাংলাদেশ টিম একজন পেইস অলরাউন্ডার খুজে বেরাচ্ছে। ফরহাদ রেজা,আবুল হাসান,সাইফুদ্দিন অনেককেই দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছিলো, বাট কেউই আশানুরুপ রেজাল্ট করতে পারেনি। পর্যাপ্ত সুযোগের পরও সবাই ব্যর্থ। ম্যাশ ইঞ্জুরির কবলে না পড়লে হয়তো এই জায়গাটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করা লাগতো না। হয়তো আমরা পারফেক্ট একজন পেইস অলরাউন্ডার পেয়ে যেতাম। কিন্ত ইঞ্জুরি আমাদের আক্ষেপটা প্রতিনিয়তই বাড়িয়ে যাচ্ছে।