
দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ডার প্রদেশের জায়গাটা একটা সময় হয়তো মহিষের অভয়ারণ্য ছিল! বন জঙ্গল কেটে কুটে পরে বানানো হয়েছে স্টেডিয়াম। আর নামটাও দেয়া হয়েছে উৎপত্তির সঙ্গে মিল রেখেই- বাফেলো পার্ক! ইস্ট লন্ডনের ‘মহিষের উদ্যান’-এ এবার খেলতে নামছে বাঘের দল! বাংলাদেশ তৃতীয় ওয়ানডে খেলবে এই মাঠে।
১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে ওয়ানডেতে ভারতের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার হার দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল ভেন্যুটির। শেষ ম্যাচটি হয়েছে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে, স্বাগতিকরা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া ২৩ ম্যাচের (১১টি ডে-নাইট) মধ্যে ১৭টিতেই একপক্ষে ছিল প্রোটিয়ারা এবং জিতেছে ১৩টিতে, হেরেছে ৪টিতে। অন্য দুটি খেলা বৃষ্টির কারণে একটি বলও মাঠে না গড়িয়ে পরিত্যক্ত হয়েছে। উপমহাদেশের দলগুলোর মধ্যে ভারত ৩টির মধ্যে একটি এবং পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ৪টি করে ম্যাচ খেলে ২টি করে জয় পেয়েছে। বাংলাদেশ এর আগে এই মাঠে কোনো ওয়ানডে খেলে নি। অবশ্য ২০০৮ সালে তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বৃষ্টি!
এখানে প্রথমে ব্যাট করা দল ৮ ম্যাচ জিতেছে এবং ফিল্ডিং করা দল পেয়েছে ১৩ খেলায় জয়। টসজয়ী দল ১৩ বার প্রথমে ব্যাট বেছে নিয়ে জয় পেয়েছে ৭টিতে এবং শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া দল ৮ ম্যাচের মধ্যে ৬টিই জিতেছে। তার মানে অতীত ইতিহাস বিবেচনায় নিলে টসজয়ী দলের ফিল্ডিং নেয়ারই সম্ভাবনা প্রবল।
এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ স্কোর ৩১১/৭, দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ইংল্যান্ডের সঙ্গে ২০০৫ সালে। আর মাত্র দুবার উঠেছে তিন’শ ছাড়ানো রান। সর্বনিম্ন ১১৫, ইংল্যান্ড ১৯৯৬ সালে গুটিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকদের কাছে। এছাড়া পাকিস্তান ১২০, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২২ ও খোদ প্রোটিয়াদেরই ১২৯ রানে অলআউট হওয়ার নজীর আছে। সেঞ্চুরি দেখা গেছে ৮টি; সর্বোচ্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজের চন্দরপলের ১৫০। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ২ জন; সেরা বোলিং শন পোলকের ৬/৩৫।
বাফেলো পার্কে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি, টি-টোয়েন্টিও তাই। ২০০২ সালে একমাত্র টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশকে হারিয়েছে ইনিংস ও ১০৭ রানে এবং ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের কাছে টি-টোয়েন্টিতে তারা হেরেছে ৮ উইকেটে। জানিয়ে রাখা ভালো, দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে ছোট মাঠ হিসেবে পরিচিত এটি।
