মাশরাফি যখন ২০১৪ সালে দলেরঅধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়েছিলেন,বাংলাদেশ র্যাংকিংয়ের নয় নম্বর অবস্থানেছিল, এবং তখনও তাদের নামের পাশে ‘পুঁচকেদল’-এর তকমা আঁটা থাকত। কিন্তু এই মুহূর্তেবাংলাদেশ সাত নম্বরে রয়েছে।

তারচেয়েওবড় কথা, এখন তারা শ্রেষ্ঠত্বের দিক থেকেবিশ্ব ক্রিকেটে অন্য যেকোন দলেরসমপর্যায়ে রয়েছে।প্রতিভার বিচরণ বাংলাদেশ দলে সবসময়ইছিল। কিন্তু এখন তার পাশাপাশি দলটার মধ্যেসঠিক টেম্পারমেন্টও এসেছে।

এবং একজনব্যক্তি দলের প্রত্যেকের মধ্যে এই অসাধারণআত্মবিশ্বাস জন্মাতে বিশেষ ভূমিকারেখেছেন। সেই ব্যক্তিটি হলেন মাশরাফিবিন মর্তুজা। যেকোন আঙ্গিক থেকেইমাশরাফি হলেন একজন সত্যিকারের যোদ্ধা।

ইনি হলেন সেই ব্যক্তি যিনি প্রতিদিন নিজেরহাঁটুর সাথে লড়াই চালিয়ে যান নিজেরখেলোয়াড়ি জীবনকে আরও খানিকটাপ্রলম্বিত করতে। তার হাঁটুর অবস্থা এতটাইভয়াবহ যে তার সামনে ঝুঁকি রয়েছেপক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে বাকি সারাটা জীবনহুইলচেয়ারে বন্দি হয়ে পড়ার।

কিন্তু তারপরওতিনি দেশের জন্য খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।এটা মাশরাফির বোলিং নয়। বরং এটা হলোমাশরাফির অসাধারণ নেতৃত্বগুণ যা দলেরসকলকে একই সুঁতোয় গেঁথেছে, এবং প্রতিনিয়তসামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ দলসিরিজ জিতেছে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণআফ্রিকার বিপক্ষে।তারা ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনালে উঠেছিল, এবং সম্প্রতি চ্যাম্পিয়নসলিগের সেমিফাইনালেও উঠেছে এবং যেইব্যক্তির জন্য এই সব কিছু সম্ভব হয়েছে তিনিই• হলেন মাশরাফি।’

সুত্র : স্পোর্টসকিডা