বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ২৮ তম ম্যাচে মুখমুখি হয়েছিলো রংপুর রাইডার্স বনাম চিটাগাং ভাইকিংস। সেই ম্যাচে শেষ ওভারে জয়ের জন্য  প্রয়জন ছিল ১৪ রান। সেই শেষ ওভার করতে আসেন তাসকিন আহমেদ।

ওভারের দ্বিতীয় বলে থিসারা পেরেরা ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচটা রংপুর রাইডার্সের দিকে নিয়ে আসে।  কিন্তু পরের তিনটা বল ভালো করে (দুই উইকেট নিয়ে) ম্যাচটা আবার চিটাগং ভাইকিংসের দিকে টেনে আনেন তাসকিন।

শেষ বলে দরকার ছিলো ৪ রান।  ব্যাটসমান,বোলার এবং দরশকদের মাঝে তীব্র স্নায়ুচাপ।  গ্যালারিতে চলছে পিনপতন নীরবতা।পেরেরাকে স্লোয়ার বল করতে চেয়েছিলেন তাসকিন।  স্নায়ুচাপে তালগোল পাকিয়ে  বড় ওয়াইড দিলেন চিটাগং পেসার তাসকিন!

সেই স্নায়ুচাপকে আর জয়ই করতে পারলেন না তাসকিন।  লেগ স্টাম্পে শর্ট বল পেয়ে পেরেরা মিড উইকেটের ওপর দিয়ে মারলেন উড়িয়ে—ছক্কা!  জমজমাট এবং শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটা রংপুর জিতে গেল ৩ উইকেটে। পেরেরার সঙ্গে স্নায়ুচাপের লড়াইয়ে পেরে ওঠেননি তাসকিন।

গলদ ছিল টেকনিকেও।  প্রতিপক্ষের অধিনায়ক হলে হবে কী, ম্যাচ শেষে তাসকিনকে কিছু পরামর্শ দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।  বিপিএলের খোলস ছেড়ে তখন দুজন জাতীয় দলের সতীর্থ।  তা তাসকিনকে কী বললেন মাশরাফি?

রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘ও যখন আমার দলে থাকে, অধিনায়ক হিসেবে আমি ওকে এ সময় ইয়র্কার দেওয়ার কথা বলি।  ইয়র্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বোলার সে।

চাপের মধ্যে দশবারের অন্তত পাঁচ-ছয়বারই সে ইয়র্কার ভালো করতে পারবে।  ওকে বলছিলাম পরে এমন পরিস্থিতিতে পড়লে…হয় কী শিশিরের কারণে অনেক সময় স্লোয়ার বল পিচে ধরে না।  সে সেরাটাই চেষ্টা করেছে।

১৮তম ওভার দারুণ করেছে।  ভাগ্য থিসারার পক্ষে ছিল, ব্যাটে-বলে হয়ে গেছে।  বা ওয়াইড না হলে বলটা প্যাডে লাগলে আমরা হেরেও যেতে পারতাম।  দিন শেষে ফল তো একদিকে যাবেই।

ও দুর্ভাগা, আমরা সৌভাগ্যবান। ’  ম্যাচে তাসকিন দুর্ভাগা হতে পারেন, কিন্তু দিন শেষে নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবতে পারেন।  বিপিএলে যে দলেই খেলেন না কেন, মাশরাফিকে তো কাছেই পাচ্ছেন!