৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ভারতের গৌহাটিতে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ভারোত্তোলনের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ জিতে অঝরে কাঁদছেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত।   আর দূর থেকে ভেসে আসছে, ‘আমার সোনার বাংলা…।’

এমন দৃশ্য দেখে চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি দেশের অগণিত মানুষ। তাদের একজন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও।  ‘এখনও স্পষ্ট মনে আছে। তখন আমরা চট্টগ্রামে ক্যাম্পে যাচ্ছি।

ফেসবুক অন করে দেখি আপনি (মাবিয়া) কাঁদছেন। প্রথমে বুঝতে পারিনি।  পুরোটা জানার পর…গাড়ির গ্লাসগুলো বন্ধ ছিল। অন্ধকার।  মনের অজান্তে আমিও কাঁদছিলাম।

সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে দেশের প্রথম ক্রীড়াভিত্তিক রেডিও স্টেশন রেডিও এজ ৯৫.৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একত্রিত হয়েছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের তিন তারকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম ও এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত।

সেখানে বসে এভাবে স্মৃতিচারণ করেন মাশরাফী।  মামুনুল ও মাবিয়া জানান, মাশরাফী তাদের কাছে অনুপ্রেরণার একটি নাম। দুই হাঁটুতে সাতটি সার্জারি নিয়ে মাশরাফী যেভাবে খেলেন তা দেখে দেশের সকল ক্রীড়াবিদদের অনুপ্রেরণা নেওয়ার কথা বলেন তারা।

মামুনুল ও মাবিয়ার মাশরাফী-বন্দনা শেষ হওয়ার আগেই ‘দুঃখিত’ বলে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে মাশরাফী বলেন ক্রিকেট ছাড়াও দেশের অন্যান্য খেলাধুলার প্রতি তার ভালবাসার কথা, ‘বাংলাদেশ টিম যখন ফুটবল খেলে বা ক্লাব পর্যায়ের খেলা হয় আমি দেখি।

বিকেলে বাসায় থাকলে বাংলাদেশের ফুটবল দেখি এমনকি ক্লাবের ফুটবল ম্যাচও দেখি। সবচেয়ে বেশি দেখি পাসিং সিস্টেম এবং বল রিসিভ করার ক্ষমতা। এগুলো ফলো করি।’  মামুনুল ও মাবিয়াকে উদ্দেশ্য করে মাশরাফী বলেন, ‘এমন না যে আমি ক্রিকেট দেখি আমি কিন্তু আপনাদের খেলাও দেখি। এবং মনে প্রাণে চাই আপনারা জিতেন।

আমিও আপনাদের ফলো করি অন্যান্য খেলাও ফলো করি। হকি খেলা (এশিয়া কাপ) হল।   সাউথ আফ্রিকায় ছিলাম। যদিও ওভাবে দেখা হয়নি তবে রেজাল্ট ফলো করেছি। এই জন্য বারবার বলছি একটা স্পোর্টস টিভি চ্যানেল যদি আসে…আরও বেশি ফলো করতে পারব।

রেডিওর মাধ্যমে শুরু হল, সামনে হয়ত টিভি চ্যানেল চলে আসবে।’