২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে মেসি শক্তিবর্ধক ঔষুধ খেয়েছিলেন। সে জন্য স্প্যানিশ পত্রিকা লা রাজোন লিওনেল মেসিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেখানে তারা উল্লেখ করেছিল মেসি একজন অলস খেলোয়াড়। তার হাতে বিশ্বকাপের (২০১৪) সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার মানায় না।

এমন মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করার পর লিওনেল মেসি একটি মামলা দায়ের করেন ওই পত্রিকার নামে। সেই মামলায় জয়ী হয়েছেন মেসি। মানহানি মামলায় জিতে পায় ৭২ হাজার ইউরো (৬৯ লাখ ৭১ হাজার ৭৫ টাকা) পেয়েছেন। তবে সেই টাকা তিনি তার পকেটে রাখেনি। তিনি সেই টাকা দান করে দিয়েছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে যুদ্ধাহতদের নিয়ে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স’ কে।

ফ্রান্সের এই এনজিওতে প্রায় ৩০ হাজার লোক কাজ করে। যাদের অধিকাংশই হল ডাক্তার, নার্স ও স্যানিটেশন বিশেষজ্ঞ। ডক্টরস উইদাউট বর্ডাস যুদ্ধবিধ্বস্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি উন্নয়শীল দেশগুলোতেও মহামারি আকার ধারণ করা কোনো রোগের প্রকোপের সময় কাজ করছে। এই সংস্থার ৯০ শতাংশ দান আসে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দান থেকে। যেমনটা মেসি করলেন এবার।