এখন পর্যন্ত ফুটবল বিশ্বকাপে ২ বার শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের নায়ক ম্যারাডোনার। এখন ম্যারাডোনার মনে হচ্ছে, তার দেশের বর্তমান দলটিতে মেসিকে ছাড়া আর কাউকেই ভালোমানের খেলোয়াড় মনে করছেনা। এমনকি ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে টিম আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারদের জয়জয়কার থাকলেও আর্জেন্টিনার বর্তমান আক্রমণভাগকে কোনো দলই ভয় পায় না বলে দাবি করেন তিনি।

কানাডার সংবাদমাধ্যম এল পপুলারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা সমালোচনার পাশাপাশি অবশ্য আশাবাদীও। তিনি মনে করেন, লিও মেসি একাই দলের দুর্বলতা ঢাকার সামর্থ্য রাখেন, ‘লিও যদি ভালো ভাবে খেলতে পারে, তাহলে এই আর্জেন্টিনা দলের অনেক সীমাবদ্ধতাই ঢাকা পড়ে যাবে।’ তার মতে, মেসি কেবল এগারোজনের একজন, সমস্যা হচ্ছে বাকি জায়গাগুলোতে, ‘মূল সমস্যা হচ্ছে মেসির পেছনের জায়গায়।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মিডফিল্ড কিন্তু ভালো নয়। কে ভেবেছিল, লুকাস বিলিয়ার মতো ফুটবলারও জাতীয় দলের মিডফিল্ডে খেলবে? এখনকার আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগকে কেউ ভয় পায় না। মেসিকে বাদ দিলে এই আর্জেন্টিনার জার্সিকে কেউ এখন সম্মানই দেয় না।’ কেবল বিলিয়া নয়, ম্যারাডোনা বিরক্ত মাওরো ইকার্দির কারণেও।

আর্জেন্টিনার কোচ সাম্পাওলি দায়িত্ব নেওয়ার পর ইন্টার মিলানে খেলা এই স্ট্রাইকারকে দলে ফিরিয়ে আনেন গত বছর। এর আগে প্রায় চার বছর আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে তার নাম ছিল না। ইকার্দিকে ফিরিয়ে এনে গঞ্জালো হিগুয়েইনকে সুযোগ না দেওয়ায় বেশ রাগান্নিত বিশ্বকাপজয়ী এই কিংবদন্তি, ‘বিশ্বকাপে ইকার্দির মতো খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করা হচ্ছে, এটা খুবই লজ্জার ব্যাপার। হিগুয়েইন ওর চেয়ে ১০ গুণ ভালো ফরোয়ার্ড। আমি তো বলব, কার্লোস তেভেজকেও বিশ্বকাপে নেওয়া উচিত। তার জায়গায় তার মতো ভালো খেলোয়াড় আর্জেন্টিনায় আর কে আছে?’

আগামী ২৭ মার্চ মেসির আর্জেন্টিনার মাদ্রিদে গিয়ে স্পেনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির ম্যাচ খেলার কথা আছে।