
সর্বাধিক আয়ের ফুটবলার এখন লিওনেল মেসি। তিনি সর্বাধিক আয়ের ফুটবলার থেকে এবার ক্রীড়া পণ্যের ট্রেডমার্ক মেসি। তবে এখন তার উপার্জন আরও ফুলে-ফেঁপে উঠতে পারে এক দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার পর।
আর্জেন্টিনার সুপার স্টার মেসি এখন ক্রীড়া পণ্যে নিজের নাম ট্রেডমার্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। ইউরোপের একটি আদালত এই মত দিয়েছে।
গত সাত বছর ধরে চলছে এই আইনি লড়াই। সেই আইনি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ী হলেন মেসি। বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার মেসি সাত বছর আগে আদালতে এই বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে তিনি ক্রীড়াপণ্যে তাঁর নাম ট্রেডমার্ক হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। তাঁর আবেদন চ্যালেঞ্জ করেছিল স্প্যানিশ সাইক্লিং ব্র্যান্ড।
এই ব্র্যান্ডের নাম হলো ম্যাসি। ইংরেজিতে যা লেখা হয় Massi এবং ফুটবলার মেসির নামের ইংরেজি বানান হচ্ছে Messi.
স্প্যানিশ ব্র্যান্ডের যুক্তি দিয়েছিলো, দু’টি নাম একইরকম এবং ইংরেজি বানানও খুব কাছাকাছি। সে কারণে বিশ্বে পণ্যের ক্রেতাদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। তবে সাইক্লিং ব্র্যান্ডের যুক্তি আদালত গ্রহণ করেনি। ইউরোপের আদালত মেসির পক্ষেই রায় দিয়েছে।
আদালতের এই আদেশ এমন সময়ে দেয়া হলো, যখন দু’দিন আগেই ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী বলেছে যে, বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আয় করা ফুটবলারের নাম মেসি। তিনি আয়ের দিক থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেছেন।
সাময়িকীটির হিসাব অনুযায়ী এই মৌসুমে মেসির আয় ১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। মেসির আবেদনের নিস্পত্তি হতে সাত বছর সময় কেন লেগেছে? লিওনেল মেসির আবেদনটি নিয়ে ২০১১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইনটেলেকচ্যুয়াল অফিস থেকে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত এসেছিল।
তাঁর আবেদন চ্যালেঞ্জ করে স্প্যানিশ সাইক্লিং ব্র্যান্ড একই ধরণের নাম বা বানান কাছাকাছি হওয়ার যে বিষয়টি তুলেছিল, এই যুক্তি মেনে নিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন অফিস। তারা ফুটবলার মেসির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। তবে ভিন্নমত পোষণ করে ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আদালত ফুটবলার মেসির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
আইনী লড়াইয়েই এতটা সময় লাগলেও ফুটবলার মেসিই এবার বিজয়ী হলেন। এখন মেসি আর সময় নষ্ট না করে নিজেকে ট্রেডমার্ক হিসেবে ব্যবহার করবেন, এমনটাই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
