
বার্সেলোনার প্রাণ ভ্রমরা লিওনেল মেসি। বার্সার হয়ে কী জেতেননি লিওনেল মেসি? ক্লাবের হয়ে মেসি যখন খেলেন- তখন মেসি থাকে অতুলনীয়। অথচ, বার্সার জার্সি গায়ে লাগিয়া ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতা হয়ে গেছে মেসির। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে বড় কোনো টুর্নামেন্টের কাপ হাতে নিতে পারেননি।
তবে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে একেবারে পাড়ের কিনারা থেকে টেনে এনেছেন দলকে। বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক করে নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার টিকিট। দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠতে পারলেও বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের ফেভারিট মনে করছেন না লিওনেল মেসি। শিরোপার দৌড়ে অন্যান্য দলের চেয়ে নিজেদের একটু পিছিয়েই রাখছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
মেসি মনে করেন, শক্তির বিচারে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল, সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন স্পেন ফ্রান্সের চেয়ে পিছিয়েই আছে আর্জেন্টিনা। কিছুদিন আগেই আর্জেন্টাইন একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব, এই বার্তা আমরা দিতে পারি না। কারণ বাস্তবতা এমন নয়। আমরা সেরা নই। এই বাস্তবতা মাথায় রেখেই আমাদের স্বপ্নের পেছনে ছুটতে হবে।
তার মানে এই নয় যে আগে থেকেই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন মেসি। বাস্তবতায় পা রেখে নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে চান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তিনি বলেন, বড় স্বপ্ন দেখার মতো কিছু খেলোয়াড় আছে আমাদের। দলের ওপর আমার আস্থা আছে। আমরা সর্বোচ্চ অনুশীলনের চেষ্টা করছি।
দেশের হয়ে একটা বিশ্বকাপ ট্রফির জন্য মুখিয়ে থাকা মেসি বললেন, সম্ভব হলে আমি বার্সেলোনায় জেতা ট্রফির বিনিময়ে জাতীয় দলের হয়ে একটি ট্রফি নিতে চাইতাম। আর্জেন্টিনার হয়ে একটা শিরোপা জয় হবে অনন্য ঘটনা।
এজন্য গ্রুপ পর্বের কোনো দলকেই হালকা ভাবে নিতে চায় না মেসি। তিনি আরও বলেছেন, সর্বশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আইসল্যান্ড দেখিয়েছে, তারা যে কারও জন্যই কঠিন একটা দল। ক্রোয়েশিয়ার মাঝ মাঠ খুবই ভালো। প্রায় স্পেনের কাছাকাছি। আর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তো সব সময়ই আমাদের ভুগতে হয়।
মেসি বিশ্বাস করেন জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করাটাই জরুরি। এগিয়ে যেতে হবে ধাপে ধাপে। আর তাহলেই ধরা দেবে সাফল্য। তবে কী চাপমুক্ত থাকার কৌশল হিসেবে ফেভারিট তকমা গায়ে লাগাতে চাচ্ছেন না মেসি?
