রঙ্গিন জিদানের দল আর ফ্যাকাশে চিরপ্রতিদন্ধী বার্সা। দুই দলের মধ্যে কতটা ব্যাবধান সেটা যেন পরিস্কার হয়ে গেল স্পানিশ সুপার কাপের প্রথম লেগেই। নেইমারকে হারিয়ে যেন প্রায় রংহীন হয়ে গেল বার্সা।

জিদান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রঙ্গিন আলোয় আলোকিত হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।

একের পর এক শিরোপা জিতেই চলছে রিয়াল। একটি স্পানিশ ক্লাব লা লীগা , টানা দুইটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা, দুটি ক্লাব বিশ্বকাপ, দুটি উয়েফা সুপার কাপ জিতে এরই মধ্যে রিয়ালের সর্বকালের সেরা কোচদের তালিকায় চলে এসেছেন রিয়াল মাদ্রিদ লিজেন্ড। অথচ একই সময়ে বার্সার অর্জন লা লীগা ও একটি একটি কোপা ডেল রে। এথেকেই পরিস্কার হয়ে যায় জিনেদিন জিদান রিয়াল মাদ্রিদ লিজেন্ড। অথচ একই সময়ে বার্সার অর্জন লা লীগা ও একটি একটি কোপা ডেল রে। এথেকেই পরিস্কার হয়ে যায় জিদানের রিয়ালের সাথে কতটা দুরত্বে আছে বার্সালোনা ।

আক্রমন ভাগে আছে বিবিসি’র সাথে মাঝমাঠে আছে বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা টনি ক্রুশ, মড্রিচ, ইসকো, কাসমিরো, ভাসকেজদের মত তারকা। তরুণ ক্ষুদে যাদুকর অ্যাসেনসিও আছে দুর্দান্ত ফর্মে। মার্সেলো রামোসদের নিয়ে গঠন করা ওয়ার্ল্ডক্লাস ডিফেন্স। সব দিক মিলিয়ে দেখলে ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী দলটিই এখন রিয়াল মাদ্রিদ। মোরাতা জেমসদের মত তারকারাও যেখানে মুল একাদশে ঠাই পায়না।

এদিকে বার্সা ভুগছে প্লেয়ার সংকটে।

নেইমারকে হারিয়ে আক্রমনের শক্তি কমে গেছে বার্সা। বিবর্ন মাঝমাঠ কিংবা দুর্বল ডিফেন্স। সবকিছুতেই ভয়ে আছে বার্সালোনা।

সে জন্য নেইমারকে বিক্রি করার পুরো টাকা ঢালতে যাচ্ছে ট্রান্সফার বাজারে বার্সা। এরই মধ্যে পাউলিনহোকে কিনে দলটির মাঝমাঠের অবস্থা কিছুটা উন্নতি করল বার্সা। কিন্তু এক পাউলিনহো কি করতে পারবে ? তাই বার্সার টার্গেট এখন ডেম্বেলে এবং কৌতিনহো । যদিও দুই দিক থেকেই রিজেক্ট হয়ে আসছে বার্সা। এবার দেখার বিষয় সর্বশেষ কি হয়।