নেইমার ছাড়াও বার্সেলোনা  ক্লাবে প্রায় ১৪০০০০ ফুটবলার আছেন, অনেক কিংবদন্তী তারকায় এই ক্লাবে আছেন।  নেইমার না থাকলেও যে বার্সেলোনা জয় পেতে পারে তার উত্তম জবাব দিলেন মেসি সুয়ারেজ। ব্রাজিলের ক্লাব শাপেকোয়েনসকে ৫-০ গোলে হারিয়ে হুয়ান গাম্পার ট্রফি জিতে নিল মেসি সুয়ারেজ ও আর্নেস্তো ভালভার্দের দল।

নেইমার ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার পর এটিই ছিল বার্সেলোনার প্রথম ম্যাচ।  যদি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বদলি হয়ে থাকেন জেরার্ড ডেলোফেউ, তাহলে বার্সেলোনাকে সন্তুষ্ট করার জন্য সব কিছুই করলেন প্রাক্তন এভারটন উইঙ্গার।  নিজে করলেন একটি গোল, সতীর্থদের দিয়ে করালেন দুটি।

গোল পেলেন লিওনেল মেসি আর লুইস সুয়ারেজও।   সব ধরনের ট্রান্সফার ফির রেকর্ড ভেঙে ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনে পিএসজিতে পাড়ি জমান ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার নেইমার জুনিয়র।   বার্সা চেয়েছিল নেইমারকে রেখে দেওয়ার জন্য।

কিন্তু সব ধরনের চেষ্টা করেও রাখা সম্ভব হইনি বার্সেলোনার জন্য। গত বছরের ২৮ নভেম্বর কোপা সুদামেরিকানার ফাইনাল খেলতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনায় পড়েন শাপেকোয়েনস ক্লাবের খেলোয়াড়-স্টাফরা।  ওই দুর্ঘটনায় সব মিলিয়ে ঝরে পড়ে ৭১টি তাজা প্রাণ।  শাপেকোয়েনস ফুটবল দলেরই ১৯ জন খেলোয়াড় প্রাণ হারান।

মাত্র তিনজন খেলোয়াড় বেঁচে ফেরেন।  প্রাণ হারানো সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রাক মৌসুম-প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট গাম্পার ট্রফিতে খেলার জন্য ব্রাজিলের ক্লাবটিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বার্সেলোনা। দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা শাপেকোয়েনসের তিন খেলোয়াড় অ্যালান রুশচেল, জ্যাকসন ফোলমান এবং নেটোও সোমবার রাতে ন্যু ক্যাম্পের এই ম্যাচে ছিলেন।

এর মধ্যে মিডফিল্ডার রুশচেল ওই দুর্ঘটনার পর কাল প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন।  খেলেন ম্যাচের প্রথম ৩৫ মিনিট।  মাঠ ছাড়ার সময় ন্যু ক্যাম্পের সকল দর্শক দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান রুশচেলকে।  কাল রাতটা এটা আরো একবার মনে করিয়ে দিল, জীবন এবং মৃত্যুর চেয়ে ফুটবল কখনোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়!

আবেগের এই ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন ডেলোফেউ।  এই মৌসুমেই এভারটন থেকে বার্সায় ফিরেছেন তিনি।  স্প্যানিশ উইঙ্গার এটাও জানেন, নেইমারের বিকল্প হিসেবে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ফরাসি ফরোয়ার্ড ওসমান ডেম্বেলের সঙ্গে কথা বলছে বার্সেলোনা।

তবে ডেলোফেউ নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, মেসি ও সুয়ারেজের পাশে নেইমারের বিকল্প হতে পারেন তিনিই!একাদশ মিনিটে ডেলোফেউয়ের সহায়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সার্জিও বুসকেটস।  ২৮ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন মেসি।  দ্বিতীয়ার্ধে অপর দুটি গোল করেছেন দুই সুয়ারেজ- লুইস ও ডেনিস।

৫৫ মিনিটে চতুর্থ গোলটা করেছেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ।  আর ৭৪ মিনিটে ডেনিস সুয়ারেজের গোলে বার্সার বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।