শেষ মুহূর্তে স্টার্কের বদলি দলে নিয়েছে লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসন। আর সোয়েপসনের সাথে আছেন আরও দুই স্পিনার নাথান লায়ন এবং অ্যাস্টন অ্যাগার। অবশ্য দলে তিন স্পেশালিষ্ট স্পিনার নেয়ার কারণটা সহজেই অনুমান করা যায়।

কারণ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল অনেকটা ধরেই নিয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম দুই ভেন্যুতেই স্পিনিং উইকেট পেতে যাচ্ছে তারা। তবে অস্ট্রেলিয়ার ভাবনা মিথ্যাও প্রমাণ করতে পারে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার স্পিনারদের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে পুরোপুরি স্পিন সহায়ক উইকেট নাও বানাতে পারে তারা।

সেক্ষেত্রে স্পিনারদের পাশাপাশি টাইগার পেসাররাও হয়ে উঠতে পারেন চিতা বাঘ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হয়ে একসময়ের মাঠ মাতানো ওপেনার শাহারিয়ার নাফিসও এমনটাই মনে করেন ।

একাত্তর টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ নিয়ে নিজের মনোর কথা ব্যক্ত করেছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। উইকেট নিয়ে নাফিস বলছিলেন,

‘ট্র্যাডিশনালি আমরা যে ধরণের উইকেট দেখে থাকি- একদম ফ্ল্যাট ক্ল্যাসিক ট্র্যাকের থেকে একটু লো গ্রেডের উইকেট যেখানে একটু ফ্ল্যাট থাকবে, কিন্তু স্লো এবং লো থাকবে এধরনের উইকেট আমরা আশা করছি।’

অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর জন্য স্লো এবং লো উইকেটই প্রয়োজন বলে মনে করেন নাফিস। ইংল্যান্ডের মতো উইকেট হলে সমস্যা হতে পারে বাংলাদেশের জানিয়ে নাফিস বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর জন্য ওই ধরণের উইকেটই দরকার।

নাফিস কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে টাইগারদের পেস ইউনিট প্রসঙ্গেও। তাঁর মতে দলের পেসারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদের চেয়ে বেশি কার্যকরী হতে পারে শফিউল ইসলাম এবং রুবেল হোসেন। নাফিসের কথামতে,

‘ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্ট নিয়ে কিছু কাটাছেড়া হতে পারে। শফিউল ইদানীং দারুণ বোলিং করছে, রুবেল আছে। তাসকিনও ভালো করছে, তবে বোলিংয়ের সামর্থ্যের দিক থেকে এবং বাংলাদেশের কন্ডিশন অনুযায়ী আমি শফিউল এবং রুবেলকে তাসকিনের চেয়েও এগিয়ে রাখবো।’

শুধু তাই নয়, কন্ডিশনের দিক দিয়েও অস্ট্রেলিয়ার থেকে বাংলাদেশকে অনেকটা এগিয়েও রাখলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস। কিছুদিন আগে ভারতে খেলতে এসে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিলো অস্ট্রলিয়ার । সেই প্রসঙ্গ নিয়ে নাফিস বললেন,

‘কন্ডিশন অনুযায়ী বা বাংলাদেশের বর্তমান শক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ কিছুটা উপরের দিকে থাকবে। আমরা অস্ট্রেলিয়ার পারফর্মেন্স কিছুদিন আগে ভারতেও দেখেছি যে তারা বেশ পরিশ্রম করেছে।’

উল্লেখ্য চলতি মাসের ১৮ই আগস্ট দুটি টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। এরপর ২২ তারিখ দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলীয়া। প্রথম ২৭-৩১ তারিখ এবং দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ ৪-৮ তারিখ ।