
মাশরাফি শুধু নাম নয় তিনি নেতা, তিনি প্রেরণা, তিনি শক্তি। মাশরাফি বিন মর্তুজা একটি নাম, তার সাথে কারো তুলনা নেই, তার তুলনা তিনি শুধু নিজেই। মাশরাফি মুর্তাজা অন্য দশজনের থেকে একটু আলাদা। বিপিএলের সব মিলিয়ে পাঁচটি আসর শেষ হলো। এর মধ্যে চারবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মাশরাফি! যে দলের হয়ে খেলেছেন তাকেই শিরোপা এনে দিয়েছে। শুধু একবারই কাপ এনে দিতে পারেনি।
দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া, উজ্জীবিত রাখার সঙ্গে খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা জোগানোর বেলায় মাশরাফির মত দ্বিতীয়টি আর কোন ক্রিকেটার নেই। তাই তো তার অধীনেও মন খুলে খেলতে পারেন গেইল-ম্যাককালামের মতো বিশ্ব ক্রিকেটের বড় তারকারা। অবলীলায় তারা মেনে নেন মাশরাফির শ্রেষ্ঠত্ব।
কিন্তু গতবছর মাশরাফি বিন মুর্তজার দায়িত্বে গ্রুপ-পর্ব পার করতে না পারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে সম্পর্কটা খারাপ হয়ে পড়ে টাইগারদের ওয়ানডে দলনেতার। যার প্রমাণ মিলে যায়, যখন পঞ্চম আসরে মাশরাফিকে ছেড়ে দেয় কুমিল্লা।
২০১৬ সালে নাফিসার সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিকালে ম্যাচ। নাফিসার সঙ্গে রাগারাগি করে সকালে হোটেল থেকে সোজা বাসায় চলে এসেছিলেন মাশরাফি! এ ঘটনায় তোলপাড় হয়ে যায় ক্রিকেট অঙ্গন। ওই সময় মাশরাফি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে কখনো কোনো অনৈতিক সিদ্ধান্ত নেইনি। দল নিয়ে মালিকদের এমন চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই হোটেল ছেড়ে চলে এসেছি।’
পরে দলের আসল মালিক অর্থাৎ নাফিসার বাবা, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল পরিস্থিতি সামলান। মাশরাফি যোগ দেন দলের সঙ্গে। প্রচণ্ড মন খারাপ নিয়ে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো কোনোরকম খেলে কুমিল্লাকে গুডবাই জানান মাশরাফি। ঝামেলার পর যতদিন দলের সঙ্গে ছিলেন, ততদিন নাফিসার কামালের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি ম্যাশ। সেই থেকে দুজনের সম্পর্কটা এখনও ‘কঠিন’ হয়ে আছে।
