
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে রেফরির সঙ্গে ঝামেলা করেছিলো নেইমার। কোস্টারিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও একই অবস্থা করেছে। আর তাই শাস্তিস্বরুপ মাঠেই হলুদ কার্ড পেলেন নেইমার। সে জন্যই ক্ষিপ্ত হয়ে যান নেইমার। তার অবস্থা এতোই খারাপ ছিল যে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে রেফারির সঙ্গে ঝামেলা করে বসে নেইমার। এমনকি তিনি রেফরির গায়ে হাত তুলতেও চেয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিরর। তখন তার সতীর্থ মার্সেলো ভিয়েরা এসে টানতে টানতে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
মিরের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কোস্টারিকার বিপক্ষে ঘটনার শুরু মাঠে হলেও সেটার ‘বন্য’ রূপ নেয় ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে। গ্যালারিতে থাকা ভক্তদের সেটা চোখ এড়ায়নি। ৪৫ মিনিটের বিরতির সময় ক্ষেপে ওঠেন নেইমার। তেড়ে যান রেফারির দিকে। তখন মার্সেলো তাকে টানতে টানতে নিয়ে আসেন।
টিভি ফুটেজে দেখা যায়, কখন রেফারি ড্রেসিংরুমের পাশে অবস্থিত স্টাফ রুমের দিকে আসবেন তার জন্য অপেক্ষা করছেন নেইমার। রেফারি আসতেই এই ঘটনা ঘটে।
মিরের দাবি, সবার সামনে রেফারির সঙ্গে প্রায় ‘হাতাহাতি’ শুরু করেন নেইমার। তাকে সরাতে সতীর্থ মার্সেলোকেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। কয়েক মিনিটের এই ঘটনার পর নেইমারের হয়ে মার্সেলো রেফারির কাছে ক্ষমা চান।
তবে ম্যাচ শেষে হেসেছেন নেইমার। তবে মাঠে কেঁদেছেনও তিনি। নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত সময়ে ২ গোল দিয়ে জয় তুলে নেয় ব্রাজিল। প্রথম গোলটি করেন মিডফিল্ডার ফিলিপ কোটিনহো। দ্বিতীয় গোলটি আসে নেইমারের পা থেকে। রেফারির শেষ বাঁশির পর নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেননি নেইমার। কেঁদেছেন আবেগে।
